রবি মরসুমের খাদ্যশস্য ভরতে চাহিদা মতো চটের বস্তা না-পেয়ে বিপাকে বিহার, তেলঙ্গানা, অন্ধ্র, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, ওড়িশার মতো রাজ্য। সূত্রের খবর, রাজ্যগুলির কৃষিমন্ত্রীরা বস্তার ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রককে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের চটকলগুলিকেও উৎপাদন বাড়িয়ে এই ঘাটতি মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে জুট কমিশনারের দফতর। জুনের মধ্যে কমপক্ষে তিন লক্ষ বেল (১ বেলে ৫০০ বস্তা) বস্তা দিতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরও বিষয়টির দিকে নিয়মিত নজর রাখছে বলে খবর।
জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী জানান, এ বছর রবি মরসুমে চটবস্তার রেকর্ড চাহিদা। কিন্তু জোগানে ঘাটতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বস্ত্র মন্ত্রকের। কারণ, এই ঘাটতির জন্য আগেও ৬.৫ লক্ষ প্লাস্টিক বস্তা কেনার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সূত্রে খবর, তার উপরে জুলাই থেকে লাগবে খরিফের শস্য রাখার বস্তা। তার হিসেবও শুরু হয়েছে। যা এ বছর অন্তত ১৭ লক্ষ বেল হতে পারে বলে ইঙ্গিত। অথচ লকডাউনে উৎপাদন বন্ধ থাকায় এবং পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঘরে ফেরায় রাজ্যের চটকলগুলি এখনও পর্যন্ত প্রয়োজন মতো বস্তা সরবরাহ করতে পারছে না।
খবর, আসন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটির বৈঠকেও বস্তার প্রসঙ্গ উঠবে। যদি মনে করা হয় চটকলগুলি চাহিদা মতো বস্তা দিতে পারবে না, তখন কেন্দ্র ফের প্লাস্টিক বস্তা কেনার পথে হাঁটতে পারে।