ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ফুটবলে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে উয়েফা। উন্নত মানের ম্যাচ সম্প্রচারের জন্য তারা তিনটি ক্যামেরা উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফ)। খেলোয়াড়দের যাতায়াতের জন্য ৩৮ আসনের একটি বাসও দিচ্ছে ইউরোপের ফুটবল পরিচালনার সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
ক্যামেরা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এরই মধ্যে পেয়ে গেছে বাফুফে। সেসব ক্যামেরা দিয়ে আগামী দুই দিন কমলাপুর স্টেডিয়ামে পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচ ধারণ করা হবে।
সব ঠিক থাকলে তৃতীয় দিন থেকে খেলাগুলো সম্প্রচার করা হবে বাফুফের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে। শুধু মাচ নয়, ডাটআউট এবং দলগুলোর কর্মকর্তাদের গতিবিধি দেখা হবে ক্যামেরার মাধ্যমে।
বরাবরই চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচগুলো নিম্নমানের ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ড করে আসছিল বাফুফে। বাফুফের সেই ক্যামেরাগুলোকে ‘বিয়েবাড়ির ক্যামেরা’ বলেও রসিকতা করেন। দুর্বল ক্যামেরার কারণে পাতানো খেলা হলেও সেটা ঠিকভাবে ধরা যায় না। অনেক দলই তাই পাতানো খেলেও পার পেয়ে গেছে।
এ বছর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে বেশ কিছু ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জোরালো অভিযোগ এসেছে। পাঁচটি ক্লাবকে এ বিষয়ে কারণ দর্শাও নোটিশও দিয়েছে বাফুফে। পাতানো খেলা সহজে ধরতে বাফুফের পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটির সুপারিশ করেছিল, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচগুলো যেন একাধিক ক্যামেরা দিয়ে ম্যাচগুলো রেকর্ড ও সম্প্রচার করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই উয়েফার কাছে ক্যামেরা চায় বাফুফে এবং সেটা তারা পেয়েছে।
‘উয়েফা অ্যাসিস্ট প্রোগ্রামের’ আওতায় এ ধরনের সহযোগিতা নিতে পারে বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশও নিচ্ছে। প্রথম দুই বছর যুব টুর্নামেন্টে অংশ নেয় বাংলাদেশ। তৃতীয় বছরে করোনার কারণে খেলায় অংশ নেয়নি বাফুফে। সেই অর্থেই উয়েফার কাছে ক্যামেরা চেয়েছিল বাফুফে।
এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম আজ বলেছেন, ‘ফুটবল উন্নয়নে উয়েফার সঙ্গে এএফসির (এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন) একটি চুক্তি আছে। তারই আওতায় এএফসির মাধ্যমে কিছু সুযোগ–সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন করা যায়
উয়েফার কাছে। সেই কর্মসূচির অধীন এবার আমরা এএফসির মাধ্যমে উন্নত মানের সম্প্রচার সরঞ্জাম চেয়েছি গত বছর। সেটা এবার পাওয়া গেছে। এ বছর আমরা খেলোয়াড়দের যাতায়াতের জন্য উয়েফার কাছে একটি বাস চেয়েছি। সেটাও অনুমোদন হয়েছে।’
বাফুফে ভবন থেকে মেয়েদের কমলাপুর স্টেডিয়ামে যেতে হয়। কমলাপুর থেকে এলিট একাডেমির ফুটবলাররা আসেন বাফুফে ভবনে। তা ছাড়া বিভিন্নভাবেই যাতায়াত করেন ফুটবলাররা। এখন উয়েফার কাছ থেকে বাস পেলে বাফুফের খরচ কমবে যাতায়াত বাবদ। ক্যামেরা ও বাস—উয়েফার জোড়া উপহারে তাই খুশি দেশীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।