হাবিবুর রহমান, ঢাকা: অশান্ত মিয়ানমার থেকে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ২৯ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
তাঁদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ আধিকারীক মো. শরিফুল সালাম।
তিনি আরও জানান, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে এসেছে। মায়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে এই ২৯ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
রবিবার রাত ১০টা থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে তাঁরা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন।
স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে বিদ্রোহী গেরিলা সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) ভারী অস্ত্র ব্যবহার করলে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বিজিপি সদস্যরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে কয়েক দফায় মিয়ানমারের ৩৩০ জন সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তি বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। জেলা শাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ২৯ জন আশ্রয় নিতে আসা মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যকে নিরস্ত্র করে রাখা হয়েছে। তাঁরা বিজিবি ও পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
তাঁদের কোথায় নিয়ে রাখা হবে, এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে বিজিবি থেকে পরে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার জানিয়েছেন, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েক দিন ধরে গোলাগুলি চলছে। তীব্র খাবার ও চিকিৎসা–সংকটের মধ্যে তাঁরা আর টিকে থাকতে পারছেন না বলে সীমান্তের ওপারের থেকে সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে ।
রাখাইনে সংঘর্ষ, গোলাগুলি শুরু হলে গত মাসের শুরুতে উখিয়া সীমান্তের রহমতের বিল, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
তাঁদের মধ্যে ছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনী, শুল্ক আধিকারীক। পরে সবাইকে ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।