বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসন ও সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশন ঘেরাও করে মানব বন্ধন করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (ইআরআই)। সোমবার সেন্ট্রাল লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে ওই মানব বন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। ইআরআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুব আলী খানশূরের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী নউসিন মোস্তারী মিয়া সাহেবের পরিচালনায় মানব বন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
মানব বন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইআরআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট আজিজুর রহমান, আল আমিন, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী জুবায়ের আহমেদ, ফাইনেন্স সেক্রেটারী মাছউদুল হাসান, অফিস সেক্রেটারী আবু জাফর আব্দুল্লাহ, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী মোর্শেদ আহমেদ খান, সদস্য ওমর ফারুক, মির্জা সাইফুল, এমদাদুল হক, ওমর ইসলাম সানী, মোঃ ফাহাদুজ্জামান, চৌধুরী তাহমিনা রহমান, মোঃ আব্দুল মোমিন, আব্দুল কাদির নাজিম, আবু তালেব, খালিদ মিয়া, সাইফুর রহমান রাজু, নিউজ লাইফ২৪ডটকম এর এডিটর মোঃ অহিদুজ্জামান, রোকতা হাসান, মোঃ সুয়াইবুর রহমান, মোঃ মশিউর রহমান, আরাফাত রহমান, তারিকুল ইসলাম, শাকিল মিনহাজ, আলী উজ্জ্বল, ফয়সাল আহমদ, শেরওয়ান আলী, মির্জা এনামুল হক, ফয়েজ উল্লাহ, মোঃ গুলজার হোসেন, মোঃ নূরুল ইসলাম (তোতা সরকার), শরীফ রানা, ইকবাল হোসেন, আবিদুর রহমান, আব্দুর রহমান ও জামান মিয়া প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, নির্যাতন এবং অসদাচরণ চালিয়ে যাচ্ছে। বিএসএফ কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে ভারতের তাবেদার আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ হওয়ায় ওই অত্যাচারকে আরো বাড়িয়েছে তুলেছে। আর এর ফলে খুব গরীব ও দুর্বল জনগোষ্ঠী বছরের পর বছর অমানবিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বলেন, ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে করায়ত্ত্ব করছে চাইছে। আর শহীদ আবরারের মতো যারা ভারতের ওই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছে ও প্রতিবাদ করছে তাদেরকে স্তব্ধ করে দিতে ভারতের তাবেদার সরকার ব্যবস্থা করছে। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, চারিদিকে জনগণ অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠছে তাই সময় থাকতে সকলের সাথে ন্যায় আচরণ করুন। অন্যথায় দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ ভারতকে উচিত শিক্ষা দিবে।
ইআরআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুব আলী খানশূর বলেন, গত দশ বছরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী ৩৩৪ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। ভারত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যের আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করলে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধ হবে। জুবায়ের আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মত গুলি করে মারছে ভারত। আওয়ামী সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে সীমান্তে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটছে। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই বছরের পর বছর এমনটা হচ্ছে। মোর্শেদ আহমেদ খান বলেন, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে নির্লজ্জভাবে ভারতের তাবেদারী করছে। তাই ভারতের আগ্রাসন থেকে বাচঁতে আমাদের প্রথমেই আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি