হাবিবুর রহমান, ঢাকা: বাংলাদেশে ভিনদেশে আশ্রিত হয়েও তাদের থেমে নেই অপরাধ কাণ্ড। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কিশোরী- তরুণীদের জোর করে ধরে হোটেলে নিয়ে দেহব্যবসার পাশাপাশি পাচার করা হয় বিদেশে। চলে মাদক ব্যবসা ও তোলাবাজি।
বিশ্বের বৃহত্তম শরনাথী শিবির অবস্থিত বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায়। সেখানকার আধিপত্য নিয়ে গড়ে উঠেছে একাধিক সশস্ত্রগ্রুপ। প্রায়ই ঘটে খুনো-খুনি। অপরাধ ঘটাতে তৎপর এমন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি- আরসার চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন (র্যাব) ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা।
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে এক শীর্ষ কমান্ডারসহ আরসার ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিডিয়া মো আবু সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, কক্সবাজার র্যাবের গোয়েন্দা টিম জানতে পারে, উখিয়া উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্ধিত অংশে মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটের আরসার একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ নতুন করে আস্তানা গড়ে তুলেছে।
এরই সূত্র ধরে র্যাবের একাধিক টিম বুধবার রাতে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালায়। অভিযানকালে র্যাব সদস্যরা একটি বাড়ি থেকে আরসার বাংলাদেশের প্রধান কমান্ডার এবং অর্থ শাখার প্রধান মো. করিম উল্লাহ (মাস্টার কলিম উল্লাহ) ও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী আকিজসহ চার জন আরসা সন্ত্রাসীকে আটক করে।
আরসার ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের পর ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালানো হয়।
২০১৭ সালে মায়ানমারের সেনা ছাউনীতে হামলার পর সেনা অভিযানের মুখে মায়ানমার থেকে বিতারিত হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার শরনার্থী শিবিরগুলোত এসে আশ্রয় নিয়েছে সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা।
কক্সবাজারেরে এ শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত গ্যাং সহিংসতা কেড়ে নিয়েছে সেখানকার আশ্রিতদের অনেকের চোখের ঘুম। নিজ দেশের সন্ত্রাসীদের হাতেই প্রাণ হারাচ্ছেন তারা।