কলকাতা, ৭ আগস্ট – বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ভারতীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত বৈঠকে হাজির ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব পিকে মিশ্র, ‘র’-এর প্রধান রবি সিন্হা এবং গোয়েন্দা বিভাগের (আইবি)-র ডিরেক্টর তপন ডেকা।
গণবিক্ষোভের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে ভারতে পালিয়ে যান। গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণের পর সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল গিয়ে সাক্ষাৎ করেন হাসিনার সাথে।
নতুন আবহে নতুন করে বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশের মধ্যে ভারতে আশ্রয় নেয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে দিল্লিতে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জোর দিয়ে বলছেন, ভারত তার অন্তিম গন্তব্য নয়– এটা শুধু একটা ‘স্টপওভার’ মাত্র।
কিন্তু ভারতে তার ‘স্টপওভারে’র মেয়াদ কতটা হবে– দু’তিন ঘণ্টা না কি দুই-তিন দিন কিংবা তারও বেশি– সেটা নিয়ে কেউই মুখ খুলছেন না।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে আলাদাভাবে দেখা করে বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে তাকে অবহিত করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অন্য দেশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ‘সেফ প্যাসেজ’ দেবে ভারত সরকার। শোনা যাচ্ছে, ভারত থেকে লন্ডনে যেতে চান শেখ হাসিনা।
ভারতীয় সূত্র বলেছে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকবেন বাংলাদেশের পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী। তবে এখন পর্যন্ত তার আশ্রয় আবেদন গৃহীত হওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।