কলকাতা-পুরীর দূরত্বই বা কত! সাকুল্যে মেরে-কেটে ৫০০ কিলোমিটারও নয়। ঝাউ ঘেরা সড়ক পথের কোল ধরে গাড়ি ছুটিয়ে বড়জোর ৯ ঘন্টা
প্রদীপ ঘোষ, কলকাতা: ‘দীপুদা’ না হোক, ‘দীপু’ এই মুহূর্তে ফের বাঙালির ড্রইংরুমে। বুঝলেন না? আরে বাবা! বাঙালির ‘দী-পু-দা’! দীঘা, পুরী, দার্জিলিং। বাঙালির সাধপূরণের ‘দীপুদা।
দীঘা, মন্দারমণির ওপর লকডাউনের গেরো আগেই আলগা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবু যেন প্রাণ ভরছিল না বাঙালির। সুখবরটা এল উইকএন্ডের আগে আগে। লকডাউন শিথিল হয়েছে পুরীতে। ১০ জুনের পর থেকে পুরীতে খুলতে শুরু করেছে হোটেল। জগন্নাথ দেবের শহরে কমবেশি প্রায় ২০০০ হোটেল রয়েছে। আনলক ওয়ানের প্রথম পর্বে ১০ জুনের পর এর মধ্য থেকে ১৫ টি হোটেল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশা সরকার। পুরীর সমুদ্র সৈকতের উপর সামনের সারিতে থাকা ১৫ টি বড় হোটেল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। এর মধ্যে রয়েছে মে-ফেয়ার হোটেল, হোটেল ভিক্টোরিয়া, স্টারলিং রিসর্ট, হংস কোকো পামস, মাহোদধি প্যালেস, হোটেল এম্পায়ারসের মত বিলাসবহুল প্রথম সারির হোটেল।
রেল সার্ভিস চালু হয়নি তো কী হয়েছে! কলকাতা-পুরীর দূরত্বই বা কত! সাকুল্যে মেরে-কেটে ৫০০ কিলোমিটারও নয়। ঝাউ ঘেরা সড়ক পথের কোল ধরে গাড়ি ছুটিয়ে বড়জোর ৯ ঘন্টা। একবার পৌঁছে যেতে পারলেই হল।হোটেলের ব্যালকনিতে বসে ঢেউয়ের ভাঙা গড়ার খেলার সাক্ষী থাকা। আর অপার সাগরের অসীম সৌন্দর্যে ভেসে যাওয়া।
লকডাউন পরবর্তী পর্যায়ে পুরীর বিলাসবহুল হোটেল গুলোতে ৫০ শতাংশ ছাড় মিলছে। কোকো পামস, মেফেয়ার-এর মত হোটেলগুলোতেও ডিলাক্স এসি রুম চলছে অর্ধেক দামে। জলের ধরে। তবে হ্যাঁ, একটাই শর্ত! এই মুহূর্তে জগন্নাথ দেবের দেশে তিন দিনের বেশি থাকার জো নেই। ওড়িশা সরকারের অনুশাসন। ৭২ ঘণ্টার বেশি বুকিং মিলছে না কোনও হোটেলে। ফেরার কনফার্ম টিকিট দেখালে তবে হোটেল বুকিং। হোটেল কোকো পামসের শ্রীধর বলছিলেন, “বিপর্যয় কাটিয়ে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে পুরী। ২০ জুনের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও কিছু হোটেল খুলে দেওয়া হবে। আর ৩০ জুনের পর খুলে যাবে বাকি সব হোটেল। জগন্নাথ দেব সদয় হলে অল্প সময়ে স্বমহিমায় ফিরবে পুরী।’’ বাঙালির উইকএন্ড মানেই তো দীঘা, পুরী। লকডাউনের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে তিন দিনের জন্য পুরী। তাও আবার অর্ধেক খরচে, বিলাসবহুল হোটেলে! এমন সুযোগ বারবার আসে না কী! নিউজ১৮