জয়ন্ত চক্রবর্তী: সাতচল্লিশতম বিবাহ বার্ষিকীর দিনে অমিতাভ বচ্চন অকপট হলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর জীবনের না বলা অনেক কথা জানালেন। সাতচল্লিশ বছর আগে বাবা বিখ্যাত কবি ও অধ্যাপক হরিবংশ রাই বচ্চনের জোরালো নির্দেশে তিনি যে এই তিন জুন তারিখে তদানীন্তন জয়া ভাদুড়ীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন তা জানিয়েছেন। সালটা ছিল উনিশশো তিয়াত্তর। জঞ্জির ছবির সেটে বাঙালি কন্যা জয়া ভাদুড়ির সঙ্গে তাঁর প্ৰেম। জঞ্জির মুক্তি পেল ১১ই মে । প্রথম সপ্তাহেই সারা দেশে হিট। তখন আজকের মতো সাকসেস পার্টির জন্মদিন হয়নি।
জঞ্জিরের সাফল্যের পর অমিতাভ ঠিক করলেন বন্ধুরা মিলে লন্ডন বেড়াতে যাবেন। বন্ধুদের তালিকায় ছিলেন জয়াও। বাবার কাছে অনুমতি চাইতে গেলেন অমিতাভ। হরিবংশ রাই জিজ্ঞাসা করলেন, বন্ধুদের তালিকায় কারা আছে। জয়ার নাম শুনেই ফতোয়া দিলেন, নিশ্চই লন্ডন যাবে। কিন্তু আগে জয়াকে বিয়ে করো তারপর যাবে। তিন জুনের টিকিট কাটা। সব আয়োজন সারা। অমিতাভ আর কি করবেন। তিন জুনই জয়াকে বিয়ে করলেন। সেই রাতেই নবদম্পতি বন্ধুদের সঙ্গে উড়ে গেলেন লন্ডন। অমিতাভ জানিয়েছেন, সুখে দুঃখে তাঁদের দাম্পত্যের বয়স হলো সাতচল্লিশ বছর। এই সময়টাতে তারা একে অপরের পরিপূরক হয়েছেন। সংসারে কাচ কিংবা কাঁসার বাসন পাশাপাশি থাকলেও ঠোকাঠুকি লাগে। কিন্তু সংসারের প্রয়োজনে দুটোই থেকে যায় বলে তিনি জানাচ্ছেন। পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় আগে এই কলকাতায় বার্ড কোম্পানির করণিক হিসেবে যে যুবকের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সে আজ এক বিশ্ববন্দিত অভিনেতা। অমিতাভ লিখেছেন, জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমি বোধহয় পাওনার অধিক পেয়েছি। এটাকেই কি বৈষ্ণব বিনয় বলা হয়?