ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। তাই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে বাড়ি ফিরছে হাজারো মানুষ। কিন্তু যাত্রী, শ্রমিক ও পথচারী কারও মধ্যেই নেই সামাজিক দূরত্ব।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এবং বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা যায়। সময় যত গড়াবে যাত্রীদের চাপ ততই বাড়বে বলে ধারণা ঘাট কর্তৃপক্ষের।
এদিকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সরকার যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দিলেও সেটি মানছেন না যানবাহনের চালকরা। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে গাদাগাদি করে বহন করছেন যাত্রী। এছাড়া লঞ্চ, ফেরি ও টার্মিনালেও নেই সামাজিক দূরত্ব।
অন্যদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে নদী পারাপারে বেশি সময় লাগছে ফেরিগুলোর। এতে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় আড়াই শতাধিক যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। আটকা পড়া যানবাহনগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই যাত্রীবাহী বাস। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালে থাকতে হচ্ছে তাদের। তবে পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
ঘরমুখো যাত্রীরা জানান, ঈদ করতে তারা বাড়িতে যাচ্ছেন। ঢাকা থেকে আসতে বাসে ভাড়া বেশি নিলেও গাদাগাদি করে আসতে হয়েছে। এখন দৌলতদিয়া প্রান্তে এসেও একই অবস্থা। ভাড়া দিগুণ কিন্তু গাদাগাদি করে যেতে হবে।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে জেনেও কেন বাড়িতে আসছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, বছরে মাত্র দুইটা ঈদ। সেই ঈদেও যদি আপনজনের সঙ্গে না থাকতে পারি, তাহলে কষ্ট বাড়বেই।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগছে। এজন্য ঘাটে যানবাহনের কিছুটা সিরিয়াল হয়। এছাড়া সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।