পশ্চিমবঙ্গ নিউজ ডেস্ক: “বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন একটা ‘অশ্বডিম্ব’। নন্দীগ্রামের অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত হয়েও চাকরি পাননি। শুধু তাই নয়, রাজ্যের সিঙ্গুরে তৈরি করা একটি কারখানাকে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।“
মঙ্গলবার রাজ্যে শুরু হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। বঙ্গে লগ্নি টানা এবং কর্মসংস্থানের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু, এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে এই ভাষাতেই চূড়ান্ত কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা নন্দীগ্রামের লোক শিল্প বিরোধী নই। নন্দীগ্রামের জেলিংহামে শিল্প চেয়েছিলাম। কিন্তু, নন্দীগ্রামে যে কায়দায় লক্ষ্মণ শেঠ গ্রামগুলো নিয়ে নিতে চেয়েছিলেন ব্রিটিশের মতো আমরা তার বিরোধিতা করেছি। ২৭টা গ্রাম কেন নিয়ে নেবে ইংরেজদের মতো।’
ন্যানো বিদায়ের পর থেকেই শোরগোল পড়েছিল রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। টাটা মোটরসকে জরিমানা দেওয়া নিয়েও রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে। শুরু হয়েছিল শাসক-বিরোধী তরজাও। আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল সিঙ্গুরে কারখানা বন্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৭৬৬ কোটি টাকা রাজ্যকে টাটা মোটরসের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি মামলার খরচ হিসেবে আরও এক কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৬৭ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল টাটা গোষ্ঠীর।
মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে। শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি সুর চড়িয়েছিলেন, রাজ্যের কোষাগার থেকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটা হবে।

