- নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
- যা ঘটছে তার প্রতি নজর রাখছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব
- গণতান্ত্রিক মূলনীতি পূরণ না হওয়ায় হতাশার কথা জানিয়েছে কানাডা
- নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারণ করা ছিল বলছে নিউইয়র্ক টাইমস
- পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ নামক ‘ডামি নির্বাচন’ পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাতিসঙ্ঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে কোন পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানালেও তাঁরা এই নির্বাচনের উপর ঠিকই চোখ রেখেছে। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়ে দিয়েছিলো যে এবারের এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য তারা কোন পূর্ণাঙ্গ দল পাঠাচ্ছে না। এর আগে জুলাইয়ে সংস্থাটির যে প্রাক নির্বাচনী দল ঢাকায় এসেছিলো তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই তখন ওই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিলো।
যাইহোক, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, হাজারো রাজনৈতিক নেতাকর্মী গ্রেফতার ও নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। এই নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করা পরিতাপের বিষয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগের মাসগুলোতে এবং নির্বাচনের দিন সহিংসতার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সহিংসতার এসব ঘটনা বিশ্বাসযোগ্যভাবে তদন্ত করে অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
মিলার আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার ও বাকস্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাক্সক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ করেছে, ৭ জানুয়ারি সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছে। হাজারো বিরোধী নেতাকর্মী গ্রেফতার ও নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ ছিল না বলে অন্যান্য পর্যবেক্ষকের অভিমতের সাথে যুক্তরাষ্ট্র একমত। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করা পরিতাপের বিষয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী হয়নি, গণতান্ত্রিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে আমরা অবগত। এই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। কাজেই বাংলাদেশের জনগণের হাতে ভোট প্রদানের জন্য সব বিকল্প উপস্থিত ছিল না। নির্বাচনের আগে ও নির্বাচন চলাকালে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ওপর। মানবাধিকার, আইনের শাসনের প্রতি সম্মান ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্যতম অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময়কালে এই মানদণ্ডগুলো ধারাবাহিকভাবে মেনে চলা হয়নি। আমরা ভোটের আগে বিরোধী দলের বহু সদস্যের গ্রেফতারে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ একটি ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ উল্লেখ করে এতে বলা হয়, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও সক্রিয় নাগরিক সমাজ গড়ে তোলার পরিবেশ তৈরি করা অপরিহার্য। আমরা আশা করি, সব রাজনৈতিক দল তাদের মতভিন্নতাকে পাশে রেখে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করবে। আমরা এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।
এদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জাতিসঙ্ঘ। বাংলাদেশে যা ঘটছে, তার প্রতি নজর রাখছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। গত সোমবার জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সংস্থাপ্রধানের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তার করা প্রশ্নে বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে জয় পাওয়ার দাবি করেছেন শেখ হাসিনা। যদিও এমন এক পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ ও বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে কি মনে করে জাতিসঙ্ঘ? জবাবে সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে তারা নজর রাখছেন। সেখানে যা ঘটছে, তার দিকে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবও নজর রাখছেন। বিরোধীদের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি তিনি জানেন। ভিন্নমত-সমালোচনা দমনসহ বিরোধী নেতাদের গ্রেফতারের সব অভিযোগের বিষয়ে তিনি অবগত।
সহযোগী মুখপাত্র আরো বলেন, নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনার খবরে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন। তিনি সবপক্ষকে সবধরনের সহিংসতা পরিহার করতে বলেছেন। মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি যাতে পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখানো হয়, তা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেখানে গণতন্ত্র সুসংহত ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অঙ্গীকার রক্ষা করতে বাংলাদেশের সদ্য নির্বাচিত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে গত রোববারের নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ওপর সহিংসতা ও দমন-পীড়নের ঘটনা পীড়াদায়ক। এই নির্বাচন সামনে রেখে বিগত মাসগুলোতে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে নির্বিচার আটক বা ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এ ধরনের কৌশলগুলো সত্যিকার অর্থে প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক নয়। বাংলাদেশের সব মানুষের ভবিষ্যৎ এখন ঝুঁকির মুখে। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দেশের সব নাগরিকের মানবাধিকার যেন সম্পূর্ণভাবে বিবেচনায় নেয়া হয় তা নিশ্চিত করা এবং দেশে একটি সত্যিকার অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য আবশ্যক শর্তগুলো পূরণে জোরদার পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।
যে গণতান্ত্রিক মূলনীতি ও স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ তা পূরণ হয়নি সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এ জন্য হতাশা প্রকাশ করেছে কানাডা। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মৌলিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের পথে, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে সব দলের প্রতি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। ৯ই জানুয়ারি দেয়া কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে।
এতে তারা আরও বলেছে, বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে কানাডা। নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং নির্বাচন চলাকালীন যে ভীতিপ্রদর্শন ও সহিংস ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা জানায় তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, এসব সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি আমাদের সহানুভূতি। গণতন্ত্রের যে মূলনীতি ও স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা পূরণ করতে পারেনি এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া। এ জন্য হতাশা প্রকাশ করছে কানাডা। একই সঙ্গে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি শক্তিশালী ও সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি কার্যকর বিরোধী দল, নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা।
এতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশকে প্রথমে যে কয়েকটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল কানাডা তার অন্যতম। এখনও একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের যে আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে তাতে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা।
“ক্র্যাকডাউন এবং বয়কটের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের বিপর্যস্থ ভোট; বিরোধী দলকে জেলে পুরে এবং ব্যালটের বাইরে রেখে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরেক দফা পূরনের আশা”___এমন শিরোনাম করে ডামি নির্বাচনের বিস্তারিত তথ্যসহ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। এতে বলা হয়েছে- ”এই নির্বাচনকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বিপর্যস্ত নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলি নির্বাচন বয়কট করেছে এবং সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রায় ৯৮% আসন জিতেছে। এই ফলাফলগুলিকে বিরোধী দলগুলি এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসির প্রধান কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন যে নির্বাচনটি “নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু” ছিল। তবে, বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। তারা বলেছে যে সরকার ইসিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারণ করা ছিল।
বড় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না আসায় দু:খ বা হতাশা প্রকাশ করে সাতই জানুয়ারির নির্বাচনে হওয়া অনিয়মগুলোর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহবান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন । নির্বাচনের বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এ আহবান জানিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দেয়া বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে ‘গত রবিবার বাংলাদেশে যে সংসদীয় নির্বাচন হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তা লক্ষ্য করেছে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে ইইউ ও বাংলাদেশের যে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব তা পুনর্ব্যক্ত করছে’। একই সঙ্গে ওই নির্বাচনে সব বড় রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় সংস্থাটি দু:খ প্রকাশ করেছে। তবে ইইউ’র নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দলের আসন্ন রিপোর্ট ও সুপারিশমালা প্রকাশের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ একমত হওয়াকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চেতনার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনে যেসব অনিয়ম হয়েছে তার সময়োপযোগী ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি। নির্বাচনের সময় সহিংসতার নিন্দা করে ইইউ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছে।
“আইনের শাসন, বিচারিক স্বাধীনতা, সঠিক প্রক্রিয়া এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে গুরুত্ব দেয়া এবং নির্বাচনের আগে ও পরে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের আটক করাটা খুবই উদ্বেগের”। সংস্থাটি রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক মানদন্ড এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উৎসাহিত করেছে।
এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিলো। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ওই নির্বাচনে ‘নজিরবিহীন ভোট কারচুপি’ ও নৈশ ভোটের অভিযোগ রয়েছে।