দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন হলে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি।
এ সময় মমতার সঙ্গে আরও শপথ নেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জ আসন থেকে জিতে আসা তৃণমূলের অপর দুই বিধায়ক। জঙ্গিপুরে জিতেছেন জাকির হোসেন। আর শমসেরগঞ্জে আমিরুল ইসলাম। নবনির্বাচিত তিন বিধায়ককে শপথ পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এ সময় তিন বিধায়ক বাংলায় শপথ পড়েন। তবে মমতাসহ অপর দুই বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কোনো বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না।
পশ্চিমবঙ্গে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা লড়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থেকে। কিন্তু ওই আসনে তিনি বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এরপরও মমতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসায় তৃণমূল। ভারতের সংবিধানে বলা হয়েছে, পরাজিত প্রার্থীর মুখ্যমন্ত্রী হতে বাধা নেই। তবে শপথ নেওয়ার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অন্য কোনো আসন থেকে উপনির্বাচনে জয় পেতে হবে। এ সুযোগ কাজে লাগায় তৃণমূল।
নন্দীগ্রামে পরাজিত মমতা উপনির্বাচনে জয় পেতে তাঁর পুরোনো আসন ভবানীপুরকে বেছে নেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। এরপর উপনির্বাচনে প্রার্থী হন মমতা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসনে ভোট হয়। ফল ঘোষণা হয় ৩ অক্টোবর। এ আসনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়ালকে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন মমতা। এতে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর পদ সুরক্ষিত হয়।
এর আগে ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকেই বিজয়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে এ আসনে মমতা জিতেছিলেন ২৫ হাজার ৩৪১ ভোটের ব্যবধানে। আর ২০১১ সালে ভবানীপুরে ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটের ব্যবধানে মমতা বিজয়ী হয়েছিলেন। এবার আগের সব রেকর্ড ভাঙেন মমতা।