শোভন চক্রবর্তী: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের লেখা বই পড়তে হবে ত্রিপুরার স্কুল ছাত্রদের। ত্রিপুরা সরকারের শীর্ষ সূত্রে খবর, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পঞ্চম শ্রেণির সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে বিপ্লবের লেখা বই। শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে সিলমোহর পড়বে।
২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় বিপ্লব দেবের লেখা বই ‘আধুনিক ত্রিপুরার শিল্পকার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য।’ বইটির উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমে বইটি হিন্দিতে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে তা বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশিত হয়। সেই বইয়ের প্রথম অধ্যায় সিলেবাসে যুক্ত করার দাবি তুলেছিল বিবেকানন্দ বিচারমঞ্চ নামের একটি সংগঠন। অনেকের মতে, অরাজনীতির মোড়কে আসলে বিজেপির-ই গণসংগঠনের মতো কাজ করে এই বিবেকানন্দ বিচারমঞ্চ।
বিপ্লবের বইতে কী রয়েছে?
মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিক ত্রিপুরার ইতিহাসের বর্ণনা করা হয়েছে ওই বইতে। সেই সময় ত্রিপুরার শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে মোদী সরকারের সাদৃশ্যের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই অধ্যায়ে। ত্রিপুরার শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বইকে সিলেবাসে অন্তরভুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শুরুও করে দিয়েছেন বলে খবর। তবে সবই চূড়ান্ত হবে মন্ত্রিসভা এবং মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরে। পর্যবেক্ষকদের মতে, জনজাতি অংশের মধ্যে মহারাজ বীরবিক্রম ও ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ব্যাপারে আবেগ রয়েছে। সরকারে এসে তাই আগরতলা বিমানবন্দরের নামও মহারাজ বীরবিক্রমের নামে করেছিলেন বিপ্লব দেব। তাঁদের বক্তব্য, ভোটের আগে মহারাজকে নিয়ে লেখা বই সিলেবাসে ঢোকানোর পিছনেও কৌশল থাকতে পারে। যদিও তৃণমূলের এক মুখপাত্র কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘বিপ্লব দেব বই লিখেছেন এটাই একটা মজার কথা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ওই বইতে হয় লেখা থাকবে মহাভারতের সময়ে ইন্টারনেটের ইতিহাস নয় জলে নামার পর হাঁসের অক্সিজেন ত্যাগ করার মতো বিজ্ঞান!’