বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। নিজেদের দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণার কথা বলতে পারে না তাদের অনেকেই। সেই শিশুদের বেশির ভাগই অবহেলিত এই করোনার সংকটে।
টালিউড তারকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সিঙ্গাপুর থেকে টিকা, চিকিত্সা ও হাসপাতালে শয্যার ব্যবস্থা করলেন ভারতের কলকাতার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য। সে খবর ইনস্টাগ্রামে নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে ঋতুপর্ণা লিখেছেন, ‘শুভ সকাল। প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাও। ব্যর্থ তারা নিজেদের প্রকাশে। না বলাই থেকে যাচ্ছে তাই তাদের দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণার কথা। সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা এটিই একা হওয়ার।পরিচর্যা করতে হয় তাদেরকে ঘণ্টায় ঘণ্টায়। বিশেষ ব্যবস্থা রাখা উচিত তাদের জন্য হাসপাতালে। দরকার অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখা। আমি চেষ্টা করছি আমার সাধ্যমতো। আপনারাও চেষ্টা করুন।’
ঋতুপর্ণা আরও জানান, অভিরূপ সেনগুপ্তের ‘প্রয়াস’সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন সেই সব সংস্থায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া আর ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদেরও। ঋতুপর্ণাকে স্পর্শ করেছে তাদের অসহায়ত্ব। করোনায় আক্রান্ত হলে আরও বেশি অসহায় হয়ে পড়ে এই ধরনের শিশুরা- বুঝেছেন এই তারকা অভিনেত্রী।
ঋতুপর্ণার এই প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হচ্ছে চিকিত্সক রুপালি বসুর তত্ত্বাবধানে। শিশুদের পাশাপাশি পূর্ণবয়স্কদের চিকিত্সার জন্য শয্যা, অক্সিজেন, ওষুধ এবং চিকিত্সার ব্যবস্থা করবে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল।
মার্চে উত্তমকুমারের বায়োপিক ‘অচেনা উত্তম’-এর শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। এতে সুচিত্রা সেনের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আপাতত এই ছবির শুটিং স্থগিত।
গত বছর লকডাউনের আগে ঋতুপর্ণা স্বামী সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের কর্মস্থল সিঙ্গাপুরে যান সপরিবার। এরপর লকডাউন শুরু হলে তিনি আটকা পড়েন সেখানে। এর ভেতরেই ‘সল্ট’ ও ‘মহিষাসুর মর্দিনী’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেন। মার্চে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থ হয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।





