ক্রীড়া প্রতিবেদক: নেপালকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। সোমবার (১৭ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের অ্যারোনেস ভ্যালে স্টেডিয়ামে নেপালকে ২১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটা জিতে নিশ্চিত করেছে সেরা আট। সুপার এইটে গ্রুপ ওয়ানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান।
‘ডি’ গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পর সুপার এইটে গেল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নেপালি বোলারদের আক্রমণে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ১০৬ রানে। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভুগেছে নেপাল। টার্নিং উইকেটেও নতুন বলে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কুশাল ভুর্তেলকে সাজঘরে ফিরিয়ে নেপাল শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম সাকিব। তার ফুলটস ডেলিভারীতে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন এই ওপেনার।
এক বল পর আনিল শাহকেও ফিরিয়েছেন তানজিম সাকিব। অফ স্টাম্পের ওপর করা ফুল লেংথের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আনিল। ২ বল খেলে ডাক মেরেছেন তিনি।
নিজের পরের ওভারে আরও এক ব্যাটারকে ফেরান তানজিম সাকিব। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে খাটো লেংথে করেছিলেন, সেখানে বাউন্ডারির আশায় ছিলেন রোহিত। কিন্তু পার করতে পারেননি রিশাদ হোসেনকে। ক্যাচ যায় সরাসরি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। ৬ বলে ১ রান করে ফেরেন রোহিত।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে এসে তানজিম সাকিবের সঙ্গে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন মুস্তাফিজুর রহমান। অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাওয়া বল কভারের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আসিফ কিন্তু বল চলে যায় সাকিবের শরীর বরাবর, সেখানে শর্ট কভারে দুইবারের চেষ্টায় ক্যাচ নেন সাকিব। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারে ১৬ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
প্রথম সাত ওভারের মধ্যেই নিজের কোটার ৪ ওভার শেষ করেন তানজিম সাকিব। টানা চতুর্থ ওভার করতে এসে নিজের স্পেলের শেষ বলে সানদিপ জোরাকে ফেরান তিনি।। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পয়েন্টে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন সানদিপ। ৪ ওভারে দুই মেইডেনসহ মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। বিশ্বকাপে পুরো ৪ ওভার করা বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড।
২৬ রানে ৫ উইকেট হারানো নেপাল ঘুরে দাঁড়ায় ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে। কুশল মাল্লা ও দিপেন্দ্র সিং আইরি মিলে দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ২৭ রান করা কুশলকে ফিরিয়ে ৫২ রানের এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ।
এরপর আইড়ি এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করলেও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ২৫ রান করেছেন আইড়ি। আর নেপাল থেমেছে ৮৫ রানে। বাংলাদেশ জয় পেলো ২১ রানে। সে সঙ্গে অন্য কোনো সমীকরণ ছাড়াই শেষ দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার তানজিম সাকিব। তাছাড়া দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এই বাঁহাতি পেসার ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাছাড়া ২ টি উইকেট পেয়েছেন সাকিব।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপে সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। এরপর আর কোনো আসরেই প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকাতে পারেনি।