নিষেধাজ্ঞা অনেকটা একঘরে করে দেয় বিশ্বের অনেক দেশকে। অর্থনৈতিক, সামরিক, প্রতিষ্ঠানিক বা ব্যক্তি পর্যায়ে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে দেখা যায়। বিশেষ করে, বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো এসব নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা সাত দেশ হলো- রাশিয়া, ইরান, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, ভেনিজুয়েলা, মিয়ানমার ও কিউবা।
রাশিয়া: বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে মস্কোর ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মস্কো বলছে, তাদের ওপর ৬ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার অর্থনৈতিক খাত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ, জ্বালানি সরবরাহ, প্রধান প্রধান কোম্পানি, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তার কন্যাদ্বয়, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্য ব্যক্তিদের ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
ইরান: বিশ্বে সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরান। ১৯৭৯ সাল থেকে দেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের যোগাযোগ খারাপ। গত এক দশকে ইরানের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৬১৬টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
সিরিয়া: যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই চলছে ২০১১ সাল থেকে। দেশটির ওপর ২ হাজার ৬০৮টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব দেশগুলো। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এসব নিষেধাজ্ঞাকে ‘অমানবিক’ ও ‘অবৈধ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
উত্তর কোরিয়া: পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে কার্যত একঘরে উত্তর কোরিয়া। দেশটির ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলোর ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। সব মিলিয়ে উত্তর কোরিয়ার ওপর ২ হাজার ৭৭টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ভেনিজুয়েলা: কঠোর নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের তালিকায় রয়েছে ভেনিজুয়েলাও। দেশটির ওপর ৬৫১টি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মিয়ানমার: মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশটির বিরুদ্ধে মোট ৫১০টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো।
কিউবা: ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র কিউবার ওপর ২০৮টি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।