পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ভারতের বিহার রাজ্যে শনিবার একদিনেই বজ্রপাতে আরও কমপক্ষে ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভাগ কর্মকর্তারা এই তথ্য দিয়ে জানান, শনিবার বিহারের পাঁচ জেলায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি নয় জন মারা গেছে ভোজপুর জেলায়। খবর এনডিটিভির।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভাগের বরাতে জানানো হয়েছে, বজ্রপাতে বাকি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সরান, কৈমুর, পাটনা এবং বক্সার জেলায়। গত শুক্রবার বিহারে বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় আটজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জুনের শেষে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রপাতে ১১০ জন প্রাণ হারান।
রাজ্য সরকার থেকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে চার লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ার সময় জনগণকে সজাগ থাকার এবং যতদূর সম্ভব বাড়ির অভ্যন্তরে থাকার অনুরোধ করেছেন তিনি।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে এবং বিহারে ওপরের সাধারণ তাপমাত্রার সংমিশ্রণ এবং বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্র দক্ষিণা বাতাসের কারণে বায়ুমণ্ডলে ‘অস্থিতিশীলতা’ বাড়ার ফলে বড় আকারের বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। গত ১৫ দিনে এই দুই রাজ্যের দেড় শতাধিক লোক বজ্রপাতে প্রাণ হারান।
ভারতের আবহাওয়া দফতরের মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ‘আসন্ন এই বৈরী আবহাওয়া নিয়ে ওই রাজ্যগুলোকে সতর্ক করে স্থানীয় জরুরি কার্যক্রম বিষয়ক দফতরে পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া পাটনায় আমাদের আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরও রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিল।’
কিছুদিন ধরেই বিহার ও পাশের উত্তরপ্রদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে এই দুই রাজ্যে বজ্রপাতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই ঘটনার সময় জমিতে কাজ করছিলেন।
এর আগে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে বজ্রপাতে শতাধিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি তার টুইটবার্তায় লেখেন, ‘বিহার-উত্তর প্রদেশে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। রাজ্য সরকার ত্রাণের ব্যবস্থা করছে। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’