কোভিডের কারণে রাজ্যসভার ভোট মার্চ থেকে পিছিয়ে জুনে হয়েছে। কলকাতার পুরভোট পিছিয়ে গেছে। কিন্তু বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সে রকম কিছু শোনা যায়নি। অক্টোবর-নভেম্বরেই হবে ভোট। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার আরও নিরাপদে ভোট করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠাল বিহারের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতর।
মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আর শ্রীনিবাসের পরামর্শ, বুথে ঢুকলেই ভোটারদের খাদির গ্লাভস পরতে হবে। টুথপিক দিয়ে ভোট বোতাম চাপতে হবে। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে। তাঁর কথায়, বুথে অন্তত তিনটি জায়গা থাকে, যেখানে এক ভোটারের সংস্পর্শে আসতে পারেন অন্য জন। ওই তিন জায়গায় অনায়াসে এক জনের থেকে সংক্রামিত হতে পারেন অন্য ভোটার। জায়গাগুলো কী? প্রথম, ভোটার ঢুকে রেজিস্টারে সই করেন বা আঙুলের ছাপ দেন। দ্বিতীয়, যখন ভোটারের আঙুলের ওপর কালি লাগানো হয়, তৃতীয়, যখন ভোটার ইভিএম-এ বোতাম চাপেন। এই তিন জায়গায় সংযোগ কমানো গেলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে বলে মত শ্রীনিবাসের।
এবার কীভাবে কমানো যাবে সেই সংযোগ? শ্রীনিবাসের মতে, ভোটারদের খাদির গ্লাভস দেওয়া হোক। আর ইভিএম-এর বোতাম চাপুন টুথপিক দিয়ে। গ্লাভস দেওয়ার বিষয়ে বিহারের রাজ্য খাদি বোর্ডের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা বলছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিহারে ভোটারের সংখ্যা সাত কোটি ১৮ লক্ষ। ৬৫ বছরের বেশি বয়সি, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভোটারদের ইতিমধ্যেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে কমিশন।