আরাকান নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা নাগরিকদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভাসানচরে গিয়েছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। সফর শেষে আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁর ঢাকায় ফিরে আসার কথা ছিল। তবে আজ বেলা একটার দিকে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পর বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিনি পুনরায় ভাসানচর ফিরে গেছেন।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক বিষযটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল বেলা দুইটার দিকে লি জিমিংসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে ভাসানচর পৌঁছায়।
ভাসানচর থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভাসানচরে পৌঁছানোর পর চীনা রাষ্ট্রদূত আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিভিন্ন ক্লাস্টার ঘুরে সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের খোঁজখবর নেন। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত ভাসানচরের ৭৬ নম্বর ক্লাস্টারসংলগ্ন ব্র্যাকের সবজি ও মৎস্য চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এরপর প্রতিনিধিদলটি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার নির্মিত ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ঘুরে দেখে। তারা এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে খোঁজখবর নেয়। পরে তারা ভাসানচরের কবরস্থান, বেড়িবাঁধ ও চীনা কোম্পানি সিআরসিসি কর্তৃক ভাসানচর জেটিঘাটের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে।
ভাসানচর থানা সূত্র জানায়, চীনা প্রতিনিধিদলটি আশ্রায়ণ প্রকল্পের ৬০ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাসকারী একটি পরিবারের কাছে জানতে চায়, তারা মিয়ানমার ফিরে যেতে আগ্রহী কি না। জবাবে রোহিঙ্গা পরিবারটি জানায়, তারা দ্রুত মিয়ানমার ফিরতে চায়। মিয়ানমারে যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় ও নতুন বসবাসের জায়গা করে দেয়, তাহলে তারা মিয়ানমার ফিরে যাবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গারা চীনা প্রতিনিধিদলকে বলে, তারা কক্সবাজার ক্যাম্পের তুলনায় ভাসানচরে ভালো আছে।
ওসি ইমদাদুল হক বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ চার সদস্যের প্রতিনিধিদলটি আজ দুপুরে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারযোগে রওনা দিয়েছিল। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুক্ষণ পর তারা ভাসানচর ফেরত আসে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামীকাল শনিবার সকালে তারা ঢাকায় ফিরে যাবে বলে জানান তিনি।