মিষ্টি জাতীয় খাবার পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কম আছে। সাধারণত বাড়িতে কোন অতিথি আসলে আমরা ডেজার্টের আইটেম তৈরি করি। তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এই রকম ডেজার্টের মজাদার ১৫ টি রেসিপি। তাহলে চলুন জেনে নেই রেসিপিগুলো। রেসিপি দিয়েছেন বিলেতের খ্যাতনামা শেফ রাশেদ চৌধুরী।
১। জর্দা
উপকরণ: ১. পোলাও চাল ১কাপ, ২. ঘি ১/২ কাপ, ৩. চিনি ১.৫ কাপ, ৪. লবঙ্গ ৫-৬টি, ৫. দারচিনি ১ টুকরা, ৬. এলাচ ৪-৫টি, ৭. আনারসের মোরব্বা – প্রয়োজনমতো, ৮. জর্দার রঙ ১/৪ চা চামচ, ৯. মাওয়া সামান্য।
প্রণালী: বেশি করে পানি পাতিলে দিয়ে চুলায় বসান। ফুটে উঠলে ধোয়া চাল দিয়ে দিন। চালে ফুট ধরলেই রঙ দিন। চাল সিদ্ধ হতেই ঝাঝরিতে ঢালুন। খেয়াল রাখবেন যাতে বেশি নরম না হয়ে যায়। আবার বেশি শক্তও যেন না থাকে।> এবার অন্য পাতিলে ঘি দিন। দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ দিন। একটু পরই চিনি দিন। আঁচ কমিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। চিনি গলে গেলেই রংগীন ভাত, মোরব্বা দিন। একটু নেড়েই চুলের আঁচ একেবারে কমিয়ে ঢেকে রাখুন। আধ ঘণ্টা পরে একবার নেড়ে সব মিশিয়ে দিন।> আবার আধ ঘণ্টা পর চুলা থেকে নামিয়ে একটা ছড়ানো ডিশে ঢেলে নিন। কাঁটা চামচ দিয়ে একটু ছড়িয়ে দিন। আরও সুন্দর করে ছোট ছোট গোলাপজাম বানিয়ে উপরে দিতে পারেন। পেস্তা বাদাম দিতে পারেন। সবশেষে উপরে মাওয়া ছিটিয়ে দিন।
২। ছানার পোলাও
উপকরণ: ১. ছানা ৩০০ গ্রাম, ২. ময়দা এক চা চামচ, ৩. বেসন এক চা চামচ, ৪. কর্নফ্লাওয়ার এক চা চামচ, ৫. চিনি আধা কাপ।
প্রণালী: প্রথমে চিনি ও পানি জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন। ছানার মধ্যে ময়দা, বেসন ও কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে খুব ভালোভাবে মেখে হাতের তালু দিয়ে মথে মণ্ড তৈরি করে নিন।এই মণ্ড থেকে পরিমাণমত মণ্ড নিয়ে ছোট ছোট বল আকারে গড়ে গরম ডুবো তেলে ভেজে চিনির সিরায় ডুবিয়ে তুলে নিন। বাকি ছানার মণ্ড নিয়ে একটা ঝাঁঝরিতে নিয়ে ঢেলে ঢেলে পোলাও এর মতো আকার করে গরম তেলে ভেজে নিন। তারপর চিনির সিরায় দিয়ে তুলে নিন। এবার এই পোলাও ও লাল ভাজা মিষ্টি একত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ছানার পোলাও।
৩। শির খোরমা
উপকরণ: ১. সেমাই ১৫০ গ্রাম, ২. তরল দুধ ২ লিটার, ৩. খেজুর ১ কাপ (বিচি ফেলে, লম্বা করে কাটা), ৪. কয়েক রকমের বাদাম ১ কাপ, ৫. ঘি আধা কাপ, ৬. কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ, ৭. ফ্রেশ ক্রিম ১ কাপ, ৮. কিশমিশ ১০০ গ্রাম, ৯. এলাচগুঁড়া ১ চা-চামচ, ১০. চিনি আধা কাপ।
প্রণালী: প্রথমে ঘি দিয়ে তাতে সেমাইগুলো ভেজে নিতে হবে। একটি পাত্রে ২ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে অল্প আঁচে দুধ ঘন করে দেড় লিটার করতে হবে। এতে খোরমা, এলাচগুঁড়া, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। এবার জ্বাল হতে থাকা দুধে সেমাই ও ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করতে হবে। অল্প ঘি গরম করে তাতে বাদাম আর কিশমিশ সোনারি–বাদামি করে ভেজে শির খোরমার ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে।
৪। কমলার স্বাদে পুডিং
উপকর : ১. কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন, ২. কমলা বা মালটার রস দেড় কাপ,৩. ডিম ৪টি, ৪. ক্যারামেলের জন্য চিনি ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালী: যে পাত্রে পুডিং তৈরি করবেন, তাতে চিনি নিয়ে চুলায় হালকা আঁচে পাত্রটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্যারামেল তৈরি করে নিন। ক্যারামেল জমাট বাঁধা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। অন্য একটা বড় বাটিতে ডিম ফেটিয়ে এর মধ্যে কমলার রস ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ছেঁকে নিন। পুডিংয়ের পাত্রে ক্যারামেলের ওপর মিশ্রণটা ঢেলে দিন। বড় একটা সমতল কড়াই বা হাঁড়িতে অল্প পানি নিন। এবার পুডিংয়ের পাত্রটি বসিয়ে ঢেকে চুলায় আঁচ দিয়ে দিন।
৫। আমের পিউরি
উপকরণ: ১. তরল দুধ ১ কাপ,২. গুঁড়া দুধ সিকি কাপ, ৩. কনডেন্সড মিল্ক আধা কৌটা, ৪. এলাচ দানা গুঁড়া আধা চা-চামচ, ৫. আমের টুকরা আধা কাপ, ৬. বাদাম কুচি অল্প কিছু, ৭. ঘি ২ চা-চামচ।
প্রণালী: প্রথমেই চুলায় একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিতে থাকুন। দুধ যখন ফুটে উঠবে, তখন একে একে ঘি, গুঁড়া দুধ, এলাচদানা গুঁড়া ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভালোমতো নেড়ে নিন। কিছুক্ষণ এভাবে করে নামিয়ে রাখুন। মিশ্রণটি হালকা ঠান্ডা হলে এতে আমের পিউরি দিয়ে আবার ভালোমতো মিশিয়ে নিন। এবার এটি পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ওপরে আমের টুকরা ও বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
৬। খোরমার সেমাই
উপকরণ: ১. ৮ কাপ বা ২ কেজি পরিমান গুঁড়া দুধ, ২. ১০০ গ্রাম সেমাই, ৩. ১১৫ গ্রাম কনডেন্স মিল্ক, ৪. চিনি স্বাদমত, ৫. ১০-১২ টা এলাচ, ৬. ১০-১২ টা খোরমা লম্বা করে ফালি করা, ৭. আধা কাপ পরিমান পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম, কিসমিস, ৮. সামান্য লবণ।
প্রণালী: দুধ গরম করে তাতে চিনি, আর কনডেন্স মিল্ক, এলাচ খোরমা এবং একটু লবন দিন। ১৫-২০ মিনিট নাড়া চাড়া করে তাতে সেমাই দিয়ে দিন। এবার দুধ ঘন হয়ে এলে তাতে কেটে রাখা বাদাম আর কিসমিস মেশান এবং একটি পাত্রে ঢেলে পছন্দ মত সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
৭। সেমাই দুধ
উপকরণ: ১. দুধ ২ লিটার, ২. মোটা সেমাই আধা কাপ (তিন রঙের সেমাই হলে ভালো), ৩. চিনি দেড় টেবিল চামচ, ৪. মাওয়া আধা কাপ, ৫. গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ৬. কর্ন ফ্লাওয়ার ৪ টেবিল চামচ।
সাজানোর জন্য যা যা লাগবে: ১. ক্রিম ১ কৌটা, ২. পাকা আম, বেদানা, কলা, আঙুর কিউব করে কাটা ২ কাপ, ৩. বাদামকুচি আধা কাপ, ৪. জেলো সবুজ ও লাল ১ কাপ (কিউব করে কাটা)।
প্রণালী: অল্প গরম দুধে মাওয়া গলিয়ে নিয়ে এর মধ্যে বাকি দুধ দিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করে কাস্টার্ড বানিয়ে নিতে হবে। এরপর একটু ঠান্ডা দুধ দিয়ে গুঁড়া দুধ ও কর্ন ফ্লাওয়ার গুলে নিতে হবে যাতে কোনো দানা না থাকে। এটা কাস্টার্ডে দিয়ে জ্বাল দিন। এতে সেমাই দিয়ে নেড়ে রান্না করুন, চিনি মেশান। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ক্রিম মিশিয়ে নিন। এবার এতে টুকরা করা মিষ্টি, ফল, বাদামকুচি কিছুটা রেখে বাকিটা মিশিয়ে নিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ইচ্ছেমতো সাজিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
৮। কাস্টার্ড সেমাই
উপকরণ: ১. লাচ্ছা সেমাই ১ প্যাকেট, ২. ডিমের কুসুম ২টি, ৩. চিনি স্বাদমতো, ৪. তরল দুধ ১ থেকে দেড় কাপ, ৫. ঘন দুধ ২ কাপ, ৬. চায়না গ্রাস ১০ থেকে ১২ গ্রাম, ৭. ভ্যানিলা ফ্লেভার ১ চা-চামচ।
প্রণালী: একটি পাত্রে চায়না গ্রাস কুচি কুচি করে কেটে আধা কাপ পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এবার জ্বাল দেওয়া ঘন দুধে চিনি মিশিয়ে গরম অবস্থায় লাচ্ছা সেমাই দিয়ে রান্না করে নিন। আলাদা একটি পাত্রে ডিমের কুসুম ও চিনি দিয়ে ফেটে নিন। এবার চুলায় একটি হাঁড়িতে বাকি তরল দুধে চায়না গ্রাস মিলিয়ে চুলায় দিন। নেড়েনেড়ে চায়না গ্রাস গলিয়ে নিন। এবার নামিয়ে হালকা ঠান্ডা করুন। এরপর ডিমের মিশ্রণ দিয়ে আবার খুব কম তাপে অনবরত নাড়ুন। খেয়াল রাখতে হবে, ডিম যেন জমে না যায়। এবার নামিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়ে সেমাইয়ের মিশ্রণে ঢেলে ভালোমতো মিশিয়ে নিন। পছন্দমতো পাত্রে ঢেলে সারা রাত না হলেও ৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে জমিয়ে নিন। পরে মোল্ড থেকে উলটে বের করে ওপরে ইচ্ছেমতো বাদাম বা মাওয়া দিয়ে পরিবেশন করুন।
৯। অরেঞ্জ জেলো
উপকরণ: ১. শর্ট অরেঞ্জ জেলো ১ প্যাকেট, ২. বিভিন্ন ফল (আপেল, কমলা, বেদানা, কিউই ছোট টুকরা করে কাটা) পরিমাণমতো।
প্রণালী: প্যাকেটের গায়ে লেখা নিয়ম অনুযায়ী জেলো গুলিয়ে নিন। এবার পরিবেশন পাত্রে ফলের টুকরা পরিমাণমতো দিয়ে ওপরে জেলো মিশ্রণটি ঢেলে দিন। জমে গেলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
১০। খেজুর গুড়ের শাহি ফিরনি
উপকরণ: ১. দুধ ১ লিটার, ২. পানি ১ কাপ, ৩. পোলাওয়ের চাল ১ মুঠো, ৪. খেজুরের গুড় আধা কাপ, ৫. মাওয়া আধা কাপ, ৬. কোরানো নারকেল আধা কাপ, ৭. চিনি ১ টেবিল চামচ, ৮. এলাচগুঁড়া ১ চা-চামচ, ৯. দারুচিনি ১টা, ১০. কাজুবাদাম পেস্ট ১ টেবিল চামচ, ১১. বাদাম অল্প পরিমাণ (সাজানোর জন্য)।
প্রণালী: চাল ২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে আধা ভাঙা করে নিতে হবে। দুধ, পানি ও চাল দিয়ে চুলায় বসিয়ে বারবার নেড়ে দিন। চাল ও দুধের মিশ্রণ যেন দলা না হয়। এবার এতে নারকেল মিশিয়ে অল্প আঁচে নেড়ে নেড়ে চাল সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হয়ে এলে চিনি দিয়ে জ্বাল করুন। তারপর কুচি কুচি করে রাখা গুড় মিশিয়ে দিন। দুধে গুড় মেশাতে গিয়ে অনেক সময় দুধ ফেটে যায়। তাই গুড় মেশানোর আগে অল্প চিনি দিয়ে জ্বাল করে নিয়ে বা চুলা থেকে নামিয়ে গুড় মিশিয়ে নিন। গুড় মেশানো হলে নেড়ে নেড়ে ঘন করে মাওয়া ও কাজুবাদাম পেস্ট মিশিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
১১। বুন্দিয়া রাবড়ি
উপকরণ: রাবড়ির জন্য-১. ঘন দুধ ২ কাপ, ২. ছানা আধা কাপ, ৩. ঘি ২ টেবিল চামচ, ৪. চিনি স্বাদ মতো, ৫. ক্রিম বা দুধের সর ২ টেবিল চামচ, ৬. পেস্তা ও কাঠবাদাম কুচি করা পরিমাণ মতো, ৭. জাফরান সাজিয়ে দেওয়ার জন্য যতটুকু লাগবে।
বুন্দিয়ার জন্য – ১. বেসন ১ কাপ, ২. তেল ১ চা-চামচ, ৩. পানি পরিমাণমতো, ৪. খাওয়ার কমলা রং আধা ফোঁটা।
সিরা তৈরির জন্য: ১. চিনি দেড় কাপ, ২. পানি ১ কাপ,৩. এলাচ ২ বা ৩টি, ৪. কমলার রস ১ টেবিল চামচ, ৫. তেল ভাজার জন্য।
প্রণালী: বুন্দিয়া-বেসন, ১ চা-চামচ তেল ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে একটি ঘন কিন্তু থকথকে নয় এমন একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন, যেন চামচে নিয়ে ঢাললে মিশ্রণটি ঘন হয়ে নিচে পড়তে থাকে। এবার এতে খাওয়ার রং মিশিয়ে নিন। আরেকটি পাত্রে সিরার উপকরণ দিয়ে চুলায় দিন। কিছুক্ষণ জাল দিয়ে ঘন আঠালো সিরা তৈরি করে নিন। এবার একটি গভীর পাত্রে পর্যাপ্ত তেল গরম করে নিন। ছিদ্র ছিদ্র ছড়ানো চামচ তেলের প্রায় আধা হাত উপড়ে রেখে ওর মধ্যে বেসনের মিশ্রণ একটু একটু করে ঢালুন। দেখবেন তেলের মধ্যে সুন্দর বুন্দিয়া তৈরি হয়েছে। এই বুন্দিয়া ৪০ বা ৫০ সেকেন্ড পরেই তেল থেকে তুলে আগেই তৈরি করে রাখা সিরায় ডুবিয়ে দিন। রাবড়ির ছানা হাত দিয়ে ভালোমতো ময়ান করে মিহি করে নিন। একটি প্যানে ঘি গরম করুন, তাতে ছানা ভেজে নিন পাঁচ মিনিট। দুধের সর দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভুনে বাদাম ও চিনি দিন। এভাবে দুই মিনিট নেড়েচেড়ে রান্না করে দুধ দিন। চুলার আঁচ একদম কমিয়ে নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন। সবশেষে এবার ছোট ছোট পরিবেশন পাত্রে মিষ্টি বুন্দিয়া ও রাবড়ি লেয়ারে লেয়ারে সাজিয়ে ওপরো ইচ্ছেমতো বাদাম কুচি বা মাওয়া দিয়ে পরিবেশন করুন।
১২। ভাজা সেমাই
উপকরণ: ১. ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম লম্বা সেমাই (ভালোভাবে ভেঙে নেওয়া), ২. তেল ১/২ কাপ, ৩. পানি ১ কাপ, ৪. এলাচ ৮-১০ টা, ৫. চিনি স্বাদমতো, ৬. কিসমিস, কাজু বাদাম আর পেস্তাবাদাম পরিমাণমত।
প্রণালী: প্রথমে তেল হালকা গরম করে তাতে ভেঙে রাখা সেমাই দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। তারপর তাতে এলাচগুলো দিয়ে ১ মিনিটের মত অপেক্ষা করুন। করতে হবে যতক্ষণ না সুবাস বের হবে ততক্ষণ হালকা নাড়াচাড়া করুন। তারপর পানি ও একটু পর কিসমিস দিয়ে মৃদু তাপে ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে দিন। এবার সেমাই বেশি শুকিয়ে আসলে প্রয়োজনে আবার একটু পানি দিন, এবার ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। এখন ঝরঝরে সেমাই নামিয়ে অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ডিশে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
১৩। মালাই সেমাই
উপকরণ: ১. দুধ দুই লিটার, ২. লাল সেমাই এক কাপ, ৩. চিনি আধা কাপ, ৪. কনডেন্সমিল্ক এক কাপ, ৫. এলাচ ও দারচিনি ৩-৪টি, ৬. ঘি এক চা চামচ, ৭. বাদাম কুচি ও কিসমিস পছন্দমতো।
প্রণালী: প্রথমে দুধ মৃদু আঁচে রেখে এলাচ আর দারুচিনিসহ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ফেলুন। এরপর চিনি দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। আরেকটি পাত্রে ঘি ঢালুন। এর মধ্যে সেমাই দিয়ে অল্প আঁচে লাল লাল করে ভেজে নিন। বেশি ভাজবেন না। এতে স্বাদ নষ্ট হবে। এখন তৈরি করা দুধের মালাইয়ের সঙ্গে সেমাই মিশিয়ে কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে রাখুন। নামিয়ে ঠান্ডা করলে দেখবেন সেমাই ঘন হয়ে যাবে। এরপর বাদাম কুচি ও কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
১৪। থ্রি লেয়ার মুজ
উপকরণ: ১. ডিমের কুসুম ৬টা, ২. চিনি সিকি কাপ, ৩. দুধ ১ কাপ, ৪. ভ্যানিলা ১ চা-চামচ, ৫. ডার্ক চকলেট ১০০ গ্রাম, ৬. সাদা চকলেট ১০০ গ্রাম, ৭. মিল্ক চকলেট ১০০ গ্রাম, ৮. জেলোটিন ২ টেবিল-চামচ।
প্রণালী: ডিমের কুসুম, চিনি, দুধ নিয়ে একটা হাঁড়িতে গরম করে অনবরত নাড়তে হবে। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ভ্যানিলা মেশাতে হবে। এবার এই মিশ্রণ তিন ভাগে ভাগ করে নিন। প্রতি ভাগে আলাদা ডার্ক, সাদা ও মিল্ক চকলেট মিশিয়ে পরিবেশন জারে লেয়ারে লেয়ারে সাজাতে হবে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
১৫। পেপারমিন্ট ট্রাইফল
ধাপ ১ উপকরণ: ১. ওরিও কুকিজের গুঁড়া আধা কাপ, ২. গোলানো মাখন সিকি কাপ।
প্রণালী: সব একত্রে মাখিয়ে গ্লাস কিংবা পাত্রের প্রথম লেয়ারে রাখতে হবে।
ধাপ ২ উপকরণ: ১. ক্রিম চিজ ১ কাপ, ২. নরম মাখন সিকি কাপ,৩. গুঁড়া চিনি সিকি কাপ, ৪. পেপারমিন্ট এসেন্স ১ টেবিল-চামচ।
প্রণালী: সব একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে বিট করে পাইপিং ব্যাগে ভরে ২য় লেয়ারে ডিজাইন করে সাজান। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।





