হরেক রকম কাবাবই আমরা খেয়ে থাকি। তবে তার জন্য কিছু উদ্যোগ-আয়োজন দরকার হয়। যেমন বারবিকিউ মেকার কিংবা কয়লার চুলা। কিন্তু সচরাচর হাতের কাছে এগুলো পাওয়া যায় না। কিন্তু হাড়ি কাবাব বানাতে এইসব ঝক্কি পোহাতে হয় না। যা সহজেই বাসায় তৈরি করা যায়। চলুন জেনে নেই কীভাবে রান্না করবেন মজাদার এ খাবারটি।
উপকরণ:
হাড় ছাড়া গরুর মাংস-১ কেজি, টক দই-১ কাপ, পেয়াজ বাটা-১ কাপ, পেয়াজ কুচি-২ টেবিল চামচ (বেরেস্তার জন্য), রসুন বাটা-২ টেবিল চামচ, আদা বাটা-১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা-১/২ চা চামচ, জয়ত্রী বাটা-১/৪ চা চামচ (পরিমাণ মতো), জায়ফল বাটা-১/৪ চা চামচ (পরিমাণ মতো), গোল মরিচের গুঁড়া-১/২ চা চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া-২ চা চামচ, জিরা গুড়া-১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া (টেলে গুড়া করা)-২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া-১ চা চামচ, কাঁচামরিচ-২ টা (পরিমাণ মতো, চিনি-১ চা চামচ(স্বাদ অনুযায়ী), ভিনেগার (অথবা লেবুর রস)-১ টেবিল চামচ, তেল-১ কাপ, তেজপাতা-২ টি, এলাচ-৩ টি, দারুচিনি-৪ টুকরা, লবঙ্গ-৪/৫ টি, লবণ-পরিমাণ মত।
প্রণালী:
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বাটিতে মাংসের টুকরাগুলোতে আস্ত কাঁচামরিচ আর ভিনেগার বাদে বাকি সমস্ত মশলা এবং অন্য উপকরণগুলো দিয়ে ভাল করে মেখে নিন মেরিনেট করার জন্য। ভাল করে মশলা মাখানো হলে এবার ভিনেগার (অথবা লেবুর রস) মেশান। এ অবস্থায় মাখানো মাংস ২ ঘণ্টা (৫-৬ ঘণ্টা রাখলে আরও ভালো) ফ্রিজে রাখুন (ডিপ ফ্রিজে রাখবেন না)।
রান্নার জন্য এবার হাড়িতে দেড় কাপ তেল দিয়ে গরম হলে পেয়াজ কুচি দিয়ে বাদামী করে ভেজে বেরেস্তা করুন। হাফ বেরেস্তা আলাদা একটি পাত্রে তুলে রাখুন পরে কাবাবের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার হাড়িতে বাকি তেলের উপর মেরিনেট করা মাংস ছেড়ে দিয়ে খানিকক্ষণ নাড়ুন। কয়েক মিনিট পরে আস্ত কাঁচামরিচ ও সামান্য পানি দিয়ে দিন। নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে পাতিলে ঢাকনা তুলে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। এ অবস্থায় রান্না হয়ে মাংস সিদ্ধ হবে। মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়ে দিবেন। মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে এলে আরেকবার নেড়ে দিন, তুলে রাখা বেরেস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ দমে রাখুন। কিছুক্ষণ পর মাংসের উপর তেল উঠে এলে কাবাবের হাড়ি চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। হাড়ি কাবাব তৈরি। ভাত-পোলাও-রুটি সবকিছুর সঙ্গেই দারুণ স্বাদের এ কাবাব খাওয়া যায়।