ইফতারে অতিথিদের জন্য তো বটেই, নিজেদের স্বাদবদল ঘটাতে বানাতে পারেন মাছের পোলাও। রইল রেসিপি।
উপকরণ-
বাসমতি চাল: ১ কেজি
যে কোনও বড় মাছ: ৭ টুকরো
জিরা: ১ চা চামচ
গোলমরিচ: ১ চা চামচ
জায়ফল: আধখানা
লবঙ্গ: ৪-৫টি
দারচিনি: ১ টুকরো
ছোট এলাচ: ৬টি
পেঁয়াজ: ৬টি
তেজপাতা: ২টি
ক্ষীর: আধ কাপ
হলুদ গুঁড়া: ১ চা চামচ
কিশমিশ: আধ কাপ
লবণ: স্বাদমতো
চিনি: পরিমাণ মতো
ঘি: ১ কাপ
প্রণালী-
মাছের গায়ে সামান্য লবণ, হলুদ মাখিয়ে হালকা করে ভেজে নিন।
চাল সেদ্ধ করার সময়ে অল্প করে জিরে আর গোলমরিচ, জায়ফল, লবঙ্গ, এলাচ একটি পুঁটলিতে বেঁধে হাঁড়িতে দিয়ে দিন। চাল অর্ধেক সিদ্ধ হলে ছেঁকে তুলে রাখুন।
বাকি মশলা শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। কড়াইয়ে ঘি গরম করে কিশমিশ ভেজে তুলে রাখুন।
ওই ঘিতেই পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বেরেস্তা ভাজুন। তাতে ভাজা মশলা, লবণ, চিনি, খোয়া ক্ষীর দিন। ভাল করে নেড়েচেড়ে হালকা ভাজা মাছগুলি বসিয়ে দিন।
এ বার মাছগুলি আধসেদ্ধ ভাতের পরতে পরতে সাজান। তার উপরে ভাজা কিশমিশ এবং অল্প বেরেস্তা দিয়ে দিন।
হাঁড়ির মুখ চাপা দিয়ে ২০ মিনিট দমে বসান। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মাছের বেরেস্তা পোলাও।
গরমে প্রাণ জুড়ায় পুদিনা পাতার লাচ্ছি
গরমে নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর ও উপকারী সব খাবার। এই সময়ে বিভিন্ন ফলের দেখা মেলে। সেসব খেতে পারেন। পাশাপাশি শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে খেতে পারেন পুদিনা পাতার লাচ্ছি। কীভাবে তৈরি করবেন? জেনে নিন-
উপকরণ-
১ কাপ টকদই
১ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ
আধা কাপ পুদিনা পাতা
পরিমাণ মতো বরফ
বিট লবণ ও চিনি এক চিমটি করে
গোলমরিচ গুঁড়া
প্রণালী-
গ্রাইন্ডারে টক দই, ১ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ, পুদিনা পাতা, বরফ কুচি, পরিমাণমতো লবণ, চিনি ও এক চিমটি গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে গ্রাইন্ডারে মিশ্রিত করুন। প্রয়োজনে অল্প একটু পানি মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভালো করে তৈরি হয়ে গেলে কাঁচের গ্লাসে পরিবেশন করুন।
পুদিনা পাতা আমাদের শরীরে নানা উপকারে লাগে। চলুন জেনে নেয়া যাক এর কিছু উপকারিতা-
পুদিনা পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট পেটের যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।
গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পুদিনার রস খুব ভালো। তাই দই মিশ্রিত এই রেসিপিটি অনায়াসেই খেতে পারেন।
পুদিনা পাতার রস ত্বকের যেকোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুদিনা পাতার পেরিনিয়াল অ্যালকোহল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের একটি উপাদান, যা শরীরে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। টাইফয়েড, নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করে।