ন্যাচরাল প্রডাক্ট এবং ওষুধের বাজার অনেক বড়, আর এই সব জিনিসের চাহিদাও অনেক বেশি। তাহলে মেডিসিনাল প্ল্যান্ট উত্পাদনের ব্যবসা করলে ক্ষতি তো নেই, বরং লাভই । কারণ এর থেকে মুনাফা পাওয়াটা নিশ্চিত । আর এর জন্য অনেক বড় জমি বা অনেক টাকার প্রয়োজন নেই। আর নিজস্ব জমিরও প্রয়োজন নেই। কারণ আপনি এর জন্য কোনও জমিকে কন্ট্র্যাক্ট হিসেবেও নিতে পারবেন। আজকাল অনেক সংস্থাই চুক্তির ভিত্তিতে ওষুধ প্রস্তুত করার জন্য ফলনের কাজ করছে। আর এই কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে মাত্র কিছু হাজার টাকাই খরচ করতে হবে । তারপর আয় হবে লাখ টাকার সমান।
এই সব জিনিস উত্পাদন করতে পারবেন
হার্বাল প্ল্যান্টে তুলসি, অ্যালোভেরার মতো জিনিসগুলি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যায়। তাই এই চাষে সময় লাগে অনেক কম। এর মধ্যে আবার অনেক গাছই ছোট ছোট গামলার মধ্যেও রাখতে পারবেন । আর এই চাষ শুরু করার জন্য আপনার কিছু হাজার টাকাই প্রয়োজন। কিন্তু আপনার আয় হবে লাখে । এখনকার দিনে অনেক ওষুধ প্রস্তুতকারি সংস্থাই রয়েছে, যারা ফসল কেনার জন্য চুক্তি করে। যার মাধ্যমে নিশ্চিত আয় সম্ভব।
৩ মাসে ৩ লাখ টাকা আয়
সাধারণত তুলসি গাছ বা পাতা পুজোর কাজে লাগে। কিন্তু এর থেকে ওষুধসামগ্রীও তৈরি হয়। তুলসি অনেক ধরণের হয়। যেখানে ইউজিনোল এবং মিথাইল সিনামেট থাকে। এটা ব্যবহার করে ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিত্সার ওষুধও বানানো হয়ে থাকে। এক হেক্টর জমিতে তুলসি উত্পাদনে খরচ মাত্র ১৫ হাজার টাকা হয় । ৩ মাসের মধ্যে এই ফসল প্রায় ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়ে যায় । অর্থাত্ তিন মাসের মধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয় সম্ভব । যদি ব্যবসা ঠিকঠাক করা যায়।
এই সংস্থাগুলির সাহায্যে করতে পারেন আয়
তুলসি চাষে পতঞ্জলি, ডাবর, বৈদ্যনাথের মতো আয়ুর্বেদ ওষুধ তৈরির সংস্থাগুলি কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং করে থাকে। এই সব সংস্থারা ফসল কেনে। তুলসির বীজ এবং তেলের চাহিদা প্রচুর। প্রতিদিন নতুন নতুন দামে তুলসির তেল এবং বীজ বিক্রি করা হয়ে থাকে।
ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে
মেডিসিনাল প্ল্যান্টের চাষের জন্য প্রয়োজন হল ভালো ট্রেনিং। যাতে ভবিষ্যতে বোকা না হতে হয়। লখনউয়ের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিসিনাল অ্যান্ড অ্যারোমেটিক প্ল্যান্টে এই চাষের জন্য ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে।