দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার মিথ্যা পরিসংখ্যান দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, একদিকে বলছে তারা দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা লাভ করেছে, অন্যদিকে ৬৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমদানি করছে। এটা সম্পূর্ণ একটা ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়।
বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কৃষক দলের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার বলেছে রিজার্ভের পরিমাণ ৪৬ বিলিয়ন ডলার। অথচ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, সরকার ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে বলছে। তারা মাথাপিছু আয় বাড়ার কথা বলছে অথচ শেরপুরের কৃষক শফিউদ্দিন সেচের ব্যবস্থা পায়নি বলে আত্মহত্যা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার মিথ্যাচার করছে। আওয়ামী লীগের চরিত্রটাই এমন। মিথ্যা কথা বলে, প্রতারণা করে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে তারা একটা চমক সৃষ্টি করে এগিয়ে যেতে চায়।’
কর্মসূচির শুরুতে তিনজন মাঠ পর্যায়ের কৃষক জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সদস্য ফরম পূরণ করে বিএনপি মহাসচিবের হাত থেকে দলের সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কৃষক ভাইদেরকে সরকার চরম বিপাকের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারা সরকার বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, কৃষকদের বিনা পয়সায় সার দেব। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। বাস্তবে কিছুই দেয়নি সরকার।’
কৃষক দলের নতুন কমিটির নেতৃত্বে কৃষকদের সংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে কৃষক। আমাদের এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সাহস সঞ্চয় করতে হবে। এটা জরুরি। বাংলাদেশের অতীত ঐতিহ্য আছে, এ দেশের কৃষকেরা বরাবরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তাদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কৃষক দল নেতা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, গৌতম চক্রবর্তী, মোশাররফ হোসেন এমপি, ওমর ফারুক শাফিন, ওবায়দুর রহমান টিপু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান।