ক্রিকেটে ‘মানকাড’ আউট নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। ১৯৪৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার বিল ব্রাউনকে ভারতের ভিনু মানকড় ‘অদ্ভুতভাবে’ আউট করলে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ক্রিকেটে মানকাডিং বৈধ থাকলেও প্রায়ই এর বিপক্ষে কথা ওঠে। এমন তিক্ত-মধুর সমস্যায় পড়া থেকে এবার মুক্তি দিচ্ছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)।
ক্রিকেট আইনের প্রবক্তা সংস্থা এমসিসি ‘মানকাড’ আউটকে ‘আনফেয়ার’ থেকে ‘ফেয়ার প্লে’র কাতারে নিয়ে এসেছে। পরিবর্তন এনেছে বলে লালা লাগানোর নিয়মেও। ব্যাটার আউট হওয়ার পর মাঝ ক্রিজের নিয়মও আর থাকছে না। আগামী ১ অক্টোবর থেকে নতুন নিয়মগুলো কার্যকর হবে।
আইনে মানকাডিং অন্তর্ভুক্ত ছিল ৪১ ধারায় (আনফেয়ার প্লে)। সেটাকে রান আউটের মান দিয়ে ৩৮ ধারায় নিয়ে এসেছে এমসিসি। এখন থেকে এমন আউট আর মানকাডিং বিতর্কে জড়াবে না, বরং একটি বৈধ রান আউট হিসেবে বিবেচিত হবে।
এমসিসি’র আইন বিষয়ক ম্যানেজার ফ্রেজার স্টুয়ার্ট বলেছেন, ‘মানকাডিংয়ে বোলারকে সবসময় ভিলেন বানানো হয়। এটি নন স্ট্রাইকার প্রান্তে যারা ক্রিজ চুরি করে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের আউট করার বৈধ উপায়। এটি বৈধ একটি রান আউট। এটি তাই আইনের রান আউট বিভাগেই থাকা উচিত।’
নতুন নিয়মে ব্যাটার আউট হলে মাঝ ক্রিজ অতিক্রম করার বিষয়টি আর থাকবে না। আগে যেমন ব্যাটার ক্যাচ বা রান আউট হলে মাঝ ক্রিজ অতিক্রম করলে অপরপ্রান্তের ক্রিকেটার স্ট্রাইক নিতে পারতেন। নতুন নিয়মে, ব্যাটার যেভাবেই আউট হন না কেনো, নতুন ব্যাটারকে স্ট্রাইকেই থাকতে হবে। তবে আগের মতো ওভার শেষে আউট হলে স্ট্রাইক বদলের সুযোগ থাকবে।
আরেক নিয়মে, বলে থুথু লাগানোতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এমসিসি। বলের রঙ পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলে থুথু লাগাতে না পারলেও সুইং করাতে গায়ের ঘাম লাগাতে পারবেন ফিল্ডাররা।
আসছে অক্টোবর থেকে বাধ্যতামূলক নতুন এসব আইন চালু করবে এমসিসি। ফ্রেজার স্টুয়ার্ট জানালেন, ‘খেলার প্রতি ক্লাবের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে আমরা এখন এই পরিবর্তনগুলো ঘোষণা করেছি। যাতে সারাবিশ্বের কর্মকর্তাদের নতুন আইন চালু হওয়ার আগে নতুন কোডের অধীনে শেখার সুযোগ থাকে।’