জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: ‘র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের কাছে তদবির দেশের জাতীয় মর্যাদা, সম্মান ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভূমিকা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশিদেরকে ডেকে আনার সামিল; এসব সরকারের বিদেশি তোষণ নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।’
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব কথা বলা হয়।
র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারত সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুরোধ ও কাজে লাগানোর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় বৈঠকে।
জোটের নেতারা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এসব তৎপরতা বাংলাদেশের জাতীয় মর্যাদা, সম্মান ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী। এটি সাধারণ কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরও বাইরে।
তারা বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কেন আমাদেরকে ভারতীয় সরকারের কাছে নির্লজ্জভাবে তদবির করতে হবে!
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে যেভাবে মার্কিন কূটনীতিকদের ভূমিকা রাখতে বলেন; সেটা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশিদেরকে ডেকে আনার সামিল।
তারা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহুদিন ধরেই নানা ইস্যুতে দেশের জন্য অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এসব আচরণ সরকারের অনুগত বিদেশি তোষণ নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।
বৈঠকে ঈদ আসন্ন এখনও পর্যন্ত বিরাট সংখ্যক গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ না করায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে সকল বকেয়া পরিশোধ করতে মালিক ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় কলাবাগানে তেঁতুলতলা খেলার মাঠ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ভূমিকাকে দ্বিচারিতা ও জবরদস্তি হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। অবিলম্বে থানাভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখে মাঠ থেকে নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাসদ- মার্কসবাদীর আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রমুখ।