কমিউনিটি নিউজ ডেস্ক: ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও মুক্তি মিলেনি এক বাংলাদেশির। ৯ দিন অতিবাহিত হলেও মিলছে না তার খোঁজ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের সোহেল মিয়াকে (৩৯), কুয়ালালামপুর তামিলযায়া তার বাসার নিচে থেকে স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে অপহরণকারীরা তুলে নিয়ে যায়।
ওইদিন রাত ২টার দিকে ০০৬০১৪৭২৩২৬২৪ মালয়েশিয়া থেকে ০১৭১০৭৮৭৯৩৩ নম্বরে সোহেল দেশে তার বোন জামাইকে ফোন করে জানায় অপহরণকারীরা তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
৫ লাখ টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে। কে বা কারা অপহরণ করেছে কিছুই বলেনি। পরদিন সকাল ১০টায় একই নম্বর থেকে সোহেলের বোন জামাই বিল্লাল হোসেনের কাছে আবারও ফোন করে সোহেল।
সোহেলের কাছ থেকে ফোন নিয়ে আরেক বাংলাদেশি বরিশালের একটি ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর দেয়। ঘটনাটি সোহেলের দুলাভাই বিল্লাল তার বোন এবং সোহেলের মা ও চাচাকে জানান।
২৭ সেপ্টেম্বর ঘাটাইল সামী টেলিকমের মাধ্যমে অপহরণকারদের দেওয়া একাউন্টে টাকা জমা করে ওইদিনই +৬০১৪২২৯১০৪৯ (হোটসঅ্যাপ) এই নম্বরে ৫ লাখ টাকার মানি রিসিট পাঠানোর পর ওকে বলে। তারপর থেকে নম্বরগুলো বন্ধ দেখাচ্ছে।
সোহেলের স্বজনদের ধারণা, ওই বাঙালি ব্যক্তিও অপহরণের সঙ্গে জড়িত। উপায়ন্তর না পেয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর সোহেলের বোন জামাই বিল্লাল হোসেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে সোহেলের নিকট আত্মীয় বিল্লাল হেসেনের ভাতিজা মালয়েশিয়ায় থাকা হাশেম আহমেদ ২ অক্টোবর রবিার রাত ১০টায় জহুর বারু সেলাতান থানায় (বালাই) অনুরূপ আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সোহেল মিয়া ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। তখন থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। মালয়েশিয়া তামিলযায়া পাশের বিল্ডিংএ থাকেন সোহেলের এক মামা মিজান। মিজান জানান, ঘটনার দিন কাজ থেকে এসে দেশে থাকা তার মায়ের সাথে কথা বলার পরে রাত ৯টার দিকে বাসার নিচে যান। বাসার নিচ থেকেই অপহরণকারীরা তাকে তুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ৩ অক্টোবর সোমবার স্থানীয় সময় ১১টায় জানতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর (কন্স্যুলার) জি এম রাসেল রানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে মিনিষ্টার (লেবার) নাজমুস সাদাত সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অপহরণ বিষয়ে তিনি অবগত নন বা লিখিত কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জহুর বারুর বাংলাদেশি ব্যবসায়ি মোস্তাফা হোসেইন জানান, এ ঘটনায় জহুরবারু সেলাতান বালাইয়ে (থানায়) ২ অক্টোবর সোহেলের নিকট আত্মীয় হাশেম আহমেদ অভিযোগ দায়েরের পর মালয়েশিয়া পুলিশ সোহেলকে উদ্ধার করতে তৎপর হয়ে উঠেছে।





