ঢাকা অফিস, ১৯ আগস্ট- রোকেয়া প্রাচী দেশদ্রোহী। তিনি বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীর কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার জন্য তার নীলনকশা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে, মেয়েদের নিয়ে, ৩২ নম্বর নিয়ে জঘন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতকে ক্ষেপিয়া তুলতে চেষ্টা করেছেন। তিনি নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন কীভাবে, সেই প্রশ্নে তোলপাড়। দুদক ও এনবিআরের মাধ্যমে তার সম্পদের হিসাব নেয়ার দাবি তুলেছেন নেটিজনরা। কেউ কেউ তাকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেয়ার দাবিও তুলছেন।
জাহিদ উর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, রোকেয়া প্রাচী বিপদে ফেলতে চাইছেন বাংলাদেশকে। ভারতের একটি টিভি চ্যানেলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে রোকেয়া প্রাচী ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করছেন। প্রেক্ষাপট দেখলে এটা সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, তিনি ভারতীয়দের হয়ে কাজ করছেন। মোহাম্মদ দিদার হোসাইন লিখেছেন, রোকেয়া প্রাচী ইন্ডিয়ার একটি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ১৫ আগস্টে ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। বাংলাদেশের সকল হিন্দুদের বাড়ি, মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে, আগুন দেয়া হয়েছে। দিদার প্রশ্ন তুলেন, এখন আপনারা বলেন তাকে কি বলা যায় ? উনাকে রাষ্ট্র দ্রোহিতার জন্য আইনের আওতায় আনতে হবে। উনি কাদের হয়ে কাজ করছেন? কাদের জন্য দেশের হয়ে এই দেশ থেকে দেশের নামে মিথ্যে বলছেন, ষড়যন্ত্র করছেন? যে ব্যক্তি এই দেশে জন্ম নিয়ে, এই দেশে বসবাস করে, দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেন, দেশের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাকে তো দেশ থেকে বের করে দেয়া উচিৎ, সে যেই হোক না কেনো।
ড. সাখাওয়াত হোসেন শায়ান্ত লিখেছেন, ইন্ডিয়ান আজতক বাংলায় দেওয়া রোকেয়া প্রাচীর একটি সাক্ষাৎকার শুনে মনে হলো, এই মহিলাকে ৩২ নাম্বারে যে ধাওয়া দিয়েছিল, তার ক্ষেত্র সে পরিকল্পিতভাবে নিজেই সৃষ্টি করেছিল এবং যারা ধাওয়া দিয়েছে তারা ভুল করেনি বলেই মনে হচ্ছে। তিনি লিখেন, তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে, মেয়েদের নিয়ে, ৩২ নম্বর নিয়ে জঘন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতকে ক্ষেপিয়া তুলতে চেষ্টা করেছেন। তবে পড়তি যৌবনাদের যে এখন ইন্ডিয়াও খায় না, এইটা সে বুঝে নাই।
ইকবাল হাসান লিখেছেন, রোকেয়া প্রাচী ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করছেন যে, বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ ঘরে ডাকাতি হয়েছে আর প্রচুর হিন্দুদের হত্যা করছে। রোকেয়া প্রাচীর নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া দরকার। ফাহাদ চৌধুরী লিখেছেন, রোকেয়া প্রাচীর বিচার চাই। তিনি প্রশ্ন তুলেন, মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য রোকেয়া প্রাচীর বিরুদ্ধে কেন দেশদ্রোহিতার মামলা করে গ্রেফতার করা হবে না?