আমরা সবাই জানি- পানির অপর নাম জীবন। শুধু তাই নয়, সুস্থ জীবন যাপনেও পানির বিকল্প নেই। তাই দিনে কম করে হলেও আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন। সেই সঙ্গে প্রতিদিন ব্যায়ামও করতে হবে।
পানির সঙ্গে এমন কিছু উপাদান মেশাতে হবে, যা একইসঙ্গে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। প্রকৃতিতে এমন অনেক উপাদান আছে যাতে স্বাদ-গন্ধের পাশাপাশি আছে পুষ্টি জোগায় ও রোগ সারানোর ক্ষমতা রাখে। সেসব মিশিয়ে পান করলে আর বিস্বাদ লাগবে না। পাশাপাশি বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতাও। সঠিক পদ্ধতিতে খেলে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতারও উন্নতি হয়।
রোগমুক্তিতে ভেষজ পানীয়-
১. এক চামচ শুকনো আমলকী, হরতকী ও বহেড়া নামে তিনটি ফলের চূর্ণ এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণের জন্য এই মিশ্রণ প্রদাহ কম রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ফ্লু ঠেকাতে ভালো কাজ করে।
২. উষ্ণ পানিতে গলা ব্যথার প্রকোপ কমে। গরম পানিতে এক চিমটি দারুচিনির গুঁড়ো ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে স্বাদ-গন্ধের যেমন উন্নতি হয় তেমনি উপকার পাওয়া যায়।
৩. এক চামচ মেথি শুকনো কড়াইয়ে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এখন এক গ্লাস পানি মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও এলডিএলের প্রকোপ কমে। প্রদাহ কমে বলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজমও ভালো হয়।
৪. এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মৌড়ি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খান। নয়তো এক গ্লাস পানি ফুটিয়ে তাতে এক চামচ মৌরি দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন ২-৩ মিনিট। তার পর ছেঁকে চায়ের মতো খান। স্বাদ বাড়াতে অল্প লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
এই পানীয় পেট ফাঁপা, গ্যাস, বদহজমের উপসর্গ কমায়। এ ছাড়া উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমায়।
৫. ১ চা চামচ সাদা জিরে, দেড় কাপ পানি, আধ চা চামচ মধু নিন। কড়াইতে জিরে হালকা করে ভেজে দেড় কাপ পানি দিয়ে ৩ থেকে ৪ মিনিট ফোটান। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে পানিটা খেয়ে নিন। এতে ওজন কমবে ও হজম শক্তিও বাড়বে।