বাংলাদেশ ডেস্ক: চলতি বছরের প্রথম অধিবেশন রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় শুরু হবে। একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ ও বছরের প্রথম অধিবেশন হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী প্রথম বৈঠকে রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেবেন। এরইমধ্যে মন্ত্রিসভায় এ ভাষণ অনুমোদন করা হয়েছে। ভাষণে বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের অধিবেশনও সাংবাদিকদের সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার থেকে কভার করতে হবে। তবে প্রথম কার্যদিবসে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সংসদ ভবনে উপস্থিত হয়ে কভার করার অনুমতি রয়েছে। এজন্য গতকাল সংসদ বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের কোভিড টেস্ট করা হয়েছে।
এছাড়া সংসদ সদস্যসহ সংসদ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও অধিবেশন উপলক্ষে কোভিড টেস্ট করা হয়েছে।
সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাব এনে এর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সে হিসেবে এ অধিবেশন দীর্ঘ হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি আবার কিছুটা অবনতির দিকে যাওয়ায় অধিবেশন দীর্ঘ নাও হতে পারে। সংসদ সচিবালয় থেকে এ অধিবেশন আপাতত ১০ অথবা ১২ কার্যদিবস চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর মেয়াদ বাড়ানো বা কমানো হতে পারে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও এর ওপর আলোচনা ছাড়াও বেশ কটি বিল পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন গত বছরের ১৪ নভেম্বর শুরু হয়ে ৯ কার্যদিবস পর্যন্ত চলে ২৮ নভেম্বর শেষ হয়। অধিবেশনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। সংসদের গত অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনায় রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় প্রস্তাব (সাধারণ) উত্থাপন করেন। এর ওপর পরে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলের উপনেতা, সরকারি ও বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন।
এছাড়া ওই অধিবেশনে সৃজনশীল অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ইউনেস্কো থেকে বঙ্গবন্ধু পুরস্কার প্রবর্তন এবং প্রদান করায় ১৪৭ বিধিতে সংসদে সাধারণ আলোচনা শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাব নেওয়া হয়।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠদশ অধিবেশন নির্বিঘ্ন করতে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সকল প্রকার অস্ত্র-শস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং যে কোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্ধ থাকবে।
আরও বলা হয়, ময়মনসিংহ রোড মহাখালী থেকে ক্রসিং থেকে পুরনো বিমানবন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং পর্যন্ত। বাংলামোটর লিংক রোড পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁ রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত। পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রিন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত।
মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি ১৬ (পুরনো ২৭) সড়কের সংযোগস্থল রোকেয়া সরণী সংযোগস্থল থেকে পুরনো নবম ডিভিশনের (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণী পর্যটন ক্রসিংয়ের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং সীমানার মধ্যে অবস্থিত সব রাস্তা ও গলিপথ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।