আরাকান নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে দায়ের করা গাম্বিয়ার মামলার খরচ চালাতে সদস্য দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ওআইসি মহাসচিব হোসেন ইব্রাহিম তাহা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণে সব মুসলিম দেশকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ জানাবেন বলেও তাকে আশ্বস্ত করেছেন ওআইসি মহাসচিব।
রোববার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন সফররত ওআইসি মহাসচিব। রোহিঙ্গাদের দুর্দশা সরেজমিন দেখার পাশাপাশি ওআইসি পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় আইইউটি’র সমাবর্তনে যোগ দেবেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতন ও ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে একজোট হতে মুসলিম দেশগুলোকে আহ্বান জানানোর তাগিদ আসে এই বৈঠকে। পরে ওআইসি মহাসচিবের সম্মানে দেয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন ওআইসিভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা।
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইসিজেতে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন গাম্বিয়ার তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবু বকর তামবাদু। এতে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনেন তিনি।
২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় ৫০০-পৃষ্ঠারও বেশি একটি স্মারক দাখিল করে। যেখানে দেখানো হয়, কীভাবে তৎকালীন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে। স্মারকটিতে গাম্বিয়ার মামলার সমর্থনে ৫ হাজার পৃষ্ঠারও বেশি সহায়ক উপাদান সংযুক্ত করা হয়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমারে সামরিক দমন-পীড়নের ফলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশ করে। জাতিসংঘ যাকে ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ বলে অভিহিত করেছে।