কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম-) করোনা আক্রান্তদের জন্য ১২০ শয্যার আইসোলেশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (এসএআরআই আইটিসি) চালু করেছে।
সোমবার (১৭ আগস্ট) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২০ (এক্সটেনশন) ক্যাম্পে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্মিত এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের শুরু হয়।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মাহবুব আলম তালুকদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইওএম বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের মাঝে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে মানবিক কর্মসূচি পরিচালনা করেছি। সে কারণে সফলতাও পেয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আমরা প্রথম অগ্রাধিকার দিয়েছি। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার মাঝে করোনা আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। এই কৃতিত্ব সবার।’
এছাড়া ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. আতিকুর রহমান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২০ ও ২০ এক্সটেনশন-এর ক্যাম্প ইনচার্জ মো. আবদুস সবুর, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নিকারুজ্জামান, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. রঞ্জন বড়ুয়া এবং ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ-এর স্বাস্থ্য খাতের সমন্বয়ক ডা. মুকেশ কুমার প্রজাপতি বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এ পর্যন্ত তিনটি এসএআরআই আইটিসির ২৩০টি শয্যার মাধ্যমে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কোভিড-১৯-এর সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থাটি। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য সংকটের শুরু থেকেই কক্সবাজারে মানবিক সহায়তা কাজে নিয়োজিত সংস্থাগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরকে আশ্রয় দেওয়া এই জেলাটিতে সম্ভাব্য মহামারি মোকাবিলায় সম্ভাব্য প্রস্তুতির জন্য কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, এসএআরআই আইটিসিগুলোর পাশাপাশি আইওএম-এর মাইগ্রেশন হেলথ ডিভিশন এখন পর্যন্ত কক্সবাজারে আরও চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পুনর্গঠন করেছে। কক্সবাজারের চকরিয়া এবং রামু উপজেলায় সরকারের পরিচালনাধীন আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে সহায়তার জন্য আইওএম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন অফিস এবং বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
কক্সবাজারে কোভিড-১৯-এর প্রভাব কমানো ও বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য বিদ্যমান স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও শক্তিশালী করা ও উন্নত করার কার্যক্রমের ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে আইওএম। যদিও বর্ষা মৌসুমের কার্যক্রম, সুরক্ষা এবং জীবিকা সংস্থানমূলক কার্যক্রমও চলমান আছে। মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলো কোভিড-১৯-এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বহুমুখী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত আছে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও জেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা ও সংস্থান দেওয়া হচ্ছে। রুবেল/সাজেদ





