আন্তর্জাতিক ডেস্ক- লেবাননের ঐক্য ও শান্তির প্রতি তুরস্কের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং লেবাননের স্থিতিশীলতার প্রতি যে কোনো হুমকি প্রতিরোধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলুর।
এরদোগান বলেন, তুরস্ক লেবাননবাসীর ঐক্য ও শান্তির জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা লেবাননের স্থিতিশীলতা রক্ষায় যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেব।
এরদোগান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান, যাতে তারা লেবাননের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি মেনে চলে এবং লেবাননে সৃষ্ট ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়। তিনি বলেন, তুরস্ক ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করেছে এবং মানবিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
লেবাননের নিরাপত্তা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ উল্লেখ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি থেকে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত না হলে পুরো অঞ্চল শান্তি পাবে না।
তিনি আরও বলেন, লেবাননের নিরাপত্তা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার সঙ্গে আলাদা করে বিবেচনা করা যায় না। এবং আমাদের অঞ্চল শান্তি পাবে না যতক্ষণ না গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। আমি প্রতিটি উপলক্ষ্যে একটি বিষয় পুনরায় জানিয়ে দিচ্ছি, যারা মনে করেন আরও রক্তপাত, আরও ধ্বংস, আরও ধ্বংসযজ্ঞ বা আরও নিরীহ মানুষের হত্যার মাধ্যমে তারা তাদের নিরাপত্তা শক্তিশালী করবে, তারা মারাত্মক ভুল করছেন।
সিরিয়ার বিষয়ে এরদোগান বলেন, আমরা লেবাননের সঙ্গে একমত যে, সিরিয়াকে নিয়ে একত্রে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। সিরিয়ার স্থিতিশীলতা মানে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা। কারণ গত ১৩ বছর ধরে সিরিয়ার অস্থিরতা পুরো অঞ্চলকে বিপর্যস্ত করেছে।
তুরস্ক ও লেবানন যেভাবে সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, তার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হল সিরিয়ার পুনর্নির্মাণ এবং দৈনন্দিন জীবনকে স্বাভাবিক করা। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং পূর্ণাঙ্গ স্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠা করা, যা সব সেক্টরকে প্রতিনিধিত্ব করবে, তা শুধু সিরিয়দের জন্য নয়, আমাদের মতো অঞ্চলের দেশগুলোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।