সমীপ / অরবিন্দ, গুয়াহাটি: শহিদরাই প্রকৃত জাতীয় নায়ক। তাঁদের মহান ত্যাগকে উপযুক্ত সম্মান জানিয়ে অসমের ভবিষ্যত গড়তে হবে আমাদেরই। বরাক-ব্রহ্মপুত্র, পাহাড়-সমতলে বসবাসকারী বৃহত্তর অসমিয়া সমাজের জন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। গুয়াহাটিতে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
বৃহস্পতিবার অসমে পালিত হয়েছে শহিদ দিবস। এ উপলক্ষ্যে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, কৃষিমন্ত্রী অতুল বরা, শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি, মন্ত্রী কেশব মহন্ত, সাংসদ কুইন ওজা, মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা হৃষিকেশ গোস্বামী, আইন উপদেষ্টা শান্তনু ভরালি, বিধায়ক তথা বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রঞ্জিতকুমার দাস, বিধায়ক রমেন্দ্র নারায়ণ কলিতা প্রমুখকে সঙ্গে নিয়ে অসম আন্দোলনে শহিদদের পূণ্য স্মৃতিতে গুয়াহাটির পশ্চিম বরাগাঁওয়ে প্রস্তাবিত শহিদ স্মারক ও শহিদ উদ্যানের নির্মাণকার্যের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর খানাপাড়ায় অসমচুক্তি রূপায়ণ দফতর প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক অসম আন্দোলনের তথ্য সংবলিত অসমিয়া ভাষায় রচিত ‘উকমুকনির পরা উদগীরণলৈ’ শীর্ষক ‘অসম আন্দোলনর তথ্যকোষ’-এর প্রথম খণ্ডের উন্মোচন করেছেন তিনি। এই দুই কার্যক্রমের আগে সকলকে সঙ্গে নিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন সনোয়াল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বীর শহিদদের স্বপ্ন পূরণ করতে অসমিয়া জাতির জাতীয় জীবনের মান-সম্মান, স্বাভিমান রক্ষা করে সরকারকে দিবারাত্র কাজ করে যেতে হবে। শহিদদের চরম ত্যাগকে সম্মান জানিয়ে অসমের ভাষা-সংস্কৃতি, কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেক অসমিয়াকে নিষ্ঠা সহকারে নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়া, রাজ্যে বিরাজমান শান্তি-সম্প্রীতি, সমন্বয়কে আরও মজবুত করতে আজ শহিদ দিবসের পবিত্র মুহূর্তে সকলকে সংকল্পবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। বলেন, ২০১৬ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বীর শহিদদের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে বৃহত্তর অসমিয়া সমাজকে ভারতবর্ষের অন্যতম এক শক্তিশালী সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিম বরাগাঁওয়ে নির্মীয়মাণ শহিদ স্মারক এবং শহিদ উদ্যান দেশ-বিদেশের পর্যটককেও আকর্ষিত করবে। এই স্মারক উদ্যান নবপ্রজন্মের মধ্যে জাতীয় চেতনা এবং জাতীয় চরিত্র গঠনে বিশেষ ভূমিকা নেবে।
অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য পেশ করেছেন অর্থ-শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পূর্তমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, কৃষিমন্ত্রী অতুল বরা, শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি, সাংসদ কুইন ওজা। স্বাগত ভাষণ দিয়েছেন মুখ্যসচিব জিষ্ণ বরুয়া।