বিচারপতির নির্দেশ, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উপর সরকারের কতটা নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে। স্কুলগুলিতে ফি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি মানা হয়, তা-ও জানাতে হবে।
আইন ও অধিকার ডেস্ক: শিক্ষা বিক্রির জিনিস নয়! শুধুমাত্র বিক্রি করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা হয়নি। রাজ্যের বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘‘শিক্ষা বিক্রয়যোগ্য নয়, এটা মনে রাখতে হবে। শিক্ষা বিক্রি করে একটা শ্রেণি রোজগার করবে, এটা হতে পারে না।’’ তাঁর নির্দেশ, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উপর সরকারের কতটা নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে। আগামী ২১ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলে অস্বাভাবিক হারে ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা রুজু হয়। ওই মামলায় বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, শুধু ওই স্কুলে নয়, রাজ্যের অন্য বেসরকারি স্কুলে যে ভাবে ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে, তা অনেকের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে শিক্ষাকে বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত করা হয়েছে। কিন্তু এটা হতে দেওয়া উচিত নয়। রাজ্যকে আদালতের নির্দেশ, কত সিবিএসই এবং আইসিএসই স্কুল রয়েছে, পরবর্তী শুনানিতে তা জানাতে হবে। উল্লেখ করতে হবে রাজ্যে বেসরকারি স্কুলের মোট সংখ্যা কত। অন্য রাজ্যে এই ধরনের স্কুলগুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে, এখানে সে রকম কিছু রয়েছে কি না! রাজ্যের স্কুলগুলিতে ফি বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি মানা হয়, আদালতকে তা-ও জানাতে হবে।
বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘আদালত আশা করছে এ মামলার গুরুত্ব বুঝে পরবর্তী কালে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় শুনানিতে অংশ নেবেন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে তাঁর পরামর্শ এবং সাহায্য নেবে আদালত।’’