বিনোদন ডেস্ক: সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’-এর কার্যক্রম সপ্তাহখানেক আগে শুরু হয়েছে। এই ট্রাস্টের দপ্তর বর্তমানে বাংলা একাডেমিতে। পরে দপ্তর কপিরাইট অফিসে স্থানান্তরের কথা রয়েছে। অসচ্ছল শিল্পীদের সহায়তা, তাদের কল্যাণে প্রকল্প বাস্তবায়ন, অসুস্থ হলে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া, শিল্পকর্মে বিশেষ অবদানের জন্য বৃত্তি প্রদান, শিল্পীদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য সহায়তাসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে এই ট্রাস্টের মাধ্যমে।
এ প্রসঙ্গে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, সারা দেশের সব ধরনের শিল্পীদের কল্যাণে শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করবে। কবি-সাহিত্যিকদের পাশেও দাঁড়াবে এই ট্রাস্ট। অর্থাৎ শিল্পীদের একটি আশ্রয়ের জায়গা হিসাবে কাজ করবে এটি। তিনি বলেন, ‘করোনাকালে সারা দেশের প্রায় ২০ হাজার অসচ্ছল শিল্পীকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের আওতায় দপ্তরটি চালু করার ফলে এর তহবিল আরও বৃদ্ধি করা যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে ২০ কোটি টাকা দিয়েছেন। এই টাকা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সেজন্য তিনি ২০০১ সালে বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন অনুমোদন দেন। এর আওতায় একটি দপ্তর-সংস্থা খোলারও নির্দেশ দেন। তখন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর দপ্তর খোলাসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কাজ করেন। এরপর এ সংক্রান্ত এক সভায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর আসে দপ্তরের জায়গা নির্বাচন ও জনবলের প্রশ্ন। জনবল নিয়োগ দিতে অনেক সময় লাগবে বিধায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলা একাডেমি থেকে অস্থায়ীভাবে দপ্তরের জন্য প্রয়োজনীয় জনবলের সংস্থান করা হয়েছে। দপ্তরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দেকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০০১ এর ৬(১) ধারামতে, গত বছর ২৩ নভেম্বর ১৭ সদস্যবিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬ মার্চ ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়।

