আগরতলা : শুধু আগরতলা নয়, সারা রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে বইমেলা। তবেই, মিলবে বইমেলার স্বার্থকতা। মঙ্গলবার আগরতলা বইমেলা প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সভায় একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ৪০তম আগরতলা বইমেলা ২০২২ প্রথম প্রস্তুতি সভা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে। দফতরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আগরতলা বইমেলা আমাদের রাজ্যের এক ঐতিহ্য, একে সবসময়ই আমাদের সরকার এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। সাথে তিনি যোগ করেন, এরই অঙ্গ হিসেবে আজ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ নম্বর হলঘরে ৪০ তম আগরতলা বইমেলা ২০২২ এর প্রথম প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত থেকে আমি সকলের বক্তব্য সম্পর্কে অবগত হয়েছি এবং কীভাবে আসন্ন বইমেলাকে আরও সুন্দর করে সকলের সহায়তায় সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছি।
আজকের এই প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাধারঘাট কেন্দ্রের বিধায়িকা শ্রীমতি মিমি মজুমদার, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুবল কুমার দে, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রশান্ত কুমার গোয়েল, টিআইডিসি এর চেয়ারম্যান টিংকু রায়, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র শ্রীমতি মনিকা দাস দত্ত, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর অরুণোদয় সাহা, এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্যদেও পোদ্দার, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব এস.এম আসাদুজ্জামান, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ডের সম্পাদক, দ্য অল ত্রিপুরা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ দেব, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুব্রত চক্রবর্তী, সহ বিভিন্ন দপ্তর, সামাজিক সংস্থার প্রতিনিধিগণের পাশাপাশি অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আগরতলা বইমেলার প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সভা বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন,শুধু আগরতলাতেই বইমেলাকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। জেলাস্তরে বইমেলাকে সম্প্রসারিত করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, আগরতলা বইমেলা শুরু হওয়ার আগেই প্রতিটি জেলা এবং মহকুমায় বইমেলা সংগঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এ বিষয় নিয়ে দু-তিন দিনের মধ্যেই বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিটি জেলা ও মহকুমায় বইমেলা সংগঠিত করতে হলে যে অর্থের প্রয়োজন হবে তার যোগান কিভাবে দেওয়া হবে তা নিয়েও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী। তিনি বলেন, তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতি, পুর পরিষদ এবং প্রতিটি মহকুমা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে এই বইমেলা সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে যুক্ত করতে হবে। তাদের সকলের সহযোগিতা নিয়ে বইমেলা সংগঠিত করতে হবে।
তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী আরো বলেন, শুধুমাত্র আগরতলাতে বইমেলা সংগঠিত করলে বই সম্পর্কে নবীন প্রজন্ম এবং বই প্রেমীদের উদ্দেশ্য সাধন করা সম্ভব হবে না। কারণ, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ আগরতলা বইমেলায় বই কিনতে খুব কম সংখ্যায় আসবেন। আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের সর্বত্র বইমেলা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আজ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।