কলকাতা: শহর কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণায় লাগামছাড়া সংক্রমণ। নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না দৈনিক মৃতের সংখ্যাও। উত্সবের পর এই সংখ্যাটা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অষ্টমীর সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে কলকাতায় আক্রান্ত প্রায় ৯০০ জন। তথ্য অনুযায়ী ৮৯৫ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যাটা ৭৫ হাজার ছাড়িয়ে গেল। অর্থাত্ ৭৫ হাজার ৬ জন।
তুলনামূলক শহরে সুস্থতার হার কম। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৫৩ জন। শুক্রবার ছিল ৮৬৬ জন। এই পর্যন্ত কলকাতায় মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৫ হাজার ৫০০ জন। শহরে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়ে ৭,৪০৯ জন। একদিনে বেড়েছে ২৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ছিল ২৪ জন। সব মিলিয়ে শহরে মোট মৃত্যু হয়েছে ২,০৯৭ জনের। পাশাপাশি একদিনে উত্তর ২৪ পরগণায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। শুক্রবার ছিল ১৬ জন। ফলে এই পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১,৪৬৪ জন।
একদিনে উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্ত ৮৯৬ জন। এই পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সমখ্যা ৭০ হাজার ছাড়াল। তথ্য অনুযায়ী, ৭০ হাজার ২৭ জন। অন্যদিকে একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৬১ জন। তার ফলে এই পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬১ হাজার ৩১২ জন। অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়ে ৭,২৫১ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়া উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরও কয়েকটি জেলার সংক্রমণ। এগুলো হল -হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি,দুই মেদিনীপুর, নদিয়া ও দার্জিলিং।
এদিনের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, মোট আক্রান্ত যথাক্রমে হাওড়া (২৩,৭৬০), দক্ষিণ ২৪ পরগনায়(২২,৮১৬ ),হুগলি (১৬,৯৩২), পূর্ব মেদিনীপুর ( ১৩,৯৭৮) ও পশ্চিম মেদিনীপুর (১৩,১৮৬) জন,নদিয়া ( ১০,৯৭১) জন ও দার্জিলিং (১০,৯৭১) জন। বাকি জেলায় সংক্রমণ ১০ হাজারের নিচে।
একদিনে যে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে কলকাতার ১৯ জন। উত্তর ২৪ পরগনার ১৪ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩ জন। হাওড়ার ২ জন। হুগলি ৫ জন। পূর্ব বর্ধমান ১ জন। পূর্ব মেদিনীপুর ৩ জন। বীরভূম ১ জন। নদিয়া ৪ জন। মুর্শিদাবাদ ২ জন। মালদা ২ জন। জলপাইগুড়ি ২ জন। দার্জিলিং ১ জন।