শিরোনাম
শুক্র. ডিসে ৫, ২০২৫

শ্যুটিং শুরুর প্রথম দিনেই ছন্দপতন! ফের বন্ধ টলিপাড়ার ক্যামেরা

মুখ্যমন্ত্রী মমতার দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী, আজ বুধবার থেকেই টলিপাড়ার দরজা খুলেছিল। কল টাইম অনুযায়ী যথাসময়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন টেলি-তারকারাও। আজ এতদিন বাদে ফ্লোরে শ্যুটিং করবে বলে মুখিয়ে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোথায় কী! শুরুর দিনেই ছন্দপতন। ফের বন্ধ হয়ে গেল টলিপাড়ার শ্যুটিং। প্রশ্ন উঠেছে ২০টি ধারাবাহিক নিয়ে।

কৃষ্ণকলি, সাঁঝের বাতি, মিঠাই, জীবন সাথী, খড়কুটো, তিতলি, অপরাজিতা অপু, গ্রামের রাণি বীণাপাণি, যমুনা ঢাকি, গঙ্গারাম, বরণ, খেলাঘর, গঙ্গারাম, শ্রীময়ী, মোহর, দেশের মাটি, রিমলি, কী করে বলবো তোমায়, ওগো নিরুপমার মতো সিরিয়ালিগুলির লকডাউনে শ্যুটিং করা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কোনও কোনও ধারবাহিকের ক্ষেত্রে সরকারের তরফে জারি করা বিধি ভঙ্গের উঠেছে। আর তাই, উক্ত ধারাবাহিকগুলি নিয়ে এখনও পর্যন্ত সঠিক জবাব না মেলায় শ্যুটিংয়ে আসেননি কলাকুশলীরা। তাই বাধ্য হয়ে এদিন বন্ধ করা হল শ্যুটিং। উল্লেখ্য, এদিন বিকেলে এই নিয়ে প্রযোজক এবং শিল্পীরা একজোট হয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হবে কি? উত্তর এখনও পর্যন্ত অধরাই।

প্রসঙ্গত, সুপার স্প্রেড করোনার জন্য লকডাউন ২.০-র গোড়া থেকেই এযাবত্‍কাল বাড়িতে শ্যুটিং করছিলেন টেলি-তারকারা। যা নিয়ে ফেডারেশনের তরফ থেকে বেজায় আপত্তি তুলেছিলেন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। শ্যুট ফ্রম হোমে আপত্তি করে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশদে এই বিষয়টি জানিয়েও ছিলেন তিনি। ফেডারেশনের অভিযোগ ছিল, বাড়ি থেকে শ্যুটিং হলে ‘ভাতে মারা পড়বেন’ কলা-কুশলীরা। কারণ, এমতাবস্থায় তাঁদের হাতে তো কোনও কাজ নেই।

অন্যদিকে, ফেডারেশনের অভিযোগের পাল্টা আর্টিস্ট ফোরামের তরফে জানানো হয়েছিল যে, নির্মাতারা যদি কলা-কুশলীদের টাকা দিতে রাজি হন, সেই শর্তেই বাড়ি থেকে শ্যুটিং চালু রেখে সিরিয়ালের টাটকা পর্ব দেখানো হবে দর্শকদের, নতুবা নয়। অন্যদিকে, কলাকুশলীরা আপত্তি তুলেছিলেন বাড়ি থেকে শ্যুটিং করায় সিরিয়ালের মান পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের নাম দেখানো হচ্ছে। ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ নিয়ে ফোরাম এবং ফেডারেশনের তরজা যখন তুঙ্গে, তখনই মুশকিল আসান করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, আগামী বুধবার অর্থাত্‍ ১৬জুন থেকেই শ্যুটিং চালু হবে টলিপাড়ায়। তবে ৫০ শতাংশ কর্মীদের সকলেরই যেন কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া থাকে, সেই শর্তসাপেক্ষে। কিন্তু শ্যুটিং শুরুর প্রথম দিনেই বাঁধল গোল। যার জেরে ফের টলিপাড়ায় শ্যুটিং অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *