২০২০-২১ অর্থ বছরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৫৭৯ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৫৮৭ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
এটি অর্থমন্ত্রীর ৩য়, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৩তম এবং বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী। মন্ত্রী লিখিত বক্তব্য ও ডিজিটাল স্ক্রিনের মাধ্যমে বাজেট পেশ করেন।
দেশ রূপান্তরের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই বাজেটকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। সংস্কৃতি খাতকে অবহেলা করে মানবিক রাষ্ট্র গড়ে উঠতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, সংস্কৃতি খাতকে গুরুত্ব না দিয়ে আমরা যে মানবিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখি, সেটা সম্ভব না। এবারও সংস্কৃতি খাতের বাজেট আমাদের হতাশ করেছে। আমরা আশা করেছিলাম, মূল বাজেটের অন্তত ১ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হবে সংস্কৃতি খাতে। সেটা করা হয়নি। এটা ভীষণ মর্মাহত হওয়ার মতো।
নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিরা সংস্কৃতি খাতকে কেমন অবহেলার চোখে দেখে, তারই প্রতিফলন ঘটেছে বাজেটের মধ্য দিয়ে। আমাদের রাষ্ট্রীয় কর্তারা মুখে বলেন, সংস্কৃতির কথা। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখি না। সংস্কৃতিবান্ধব সরকার বলে যাচ্ছি, কিন্তু রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে সংস্কৃতিকে অবহেলা আমাদের মর্মাহত করে। সংস্কৃতি খাতকে অবহেলা করে মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব না।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, সংস্কৃতি খাতের বাজেট আমাদের মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ করেছে। আমরা এটা প্রত্যাশা করিনি। আমরা বলে আসছি, অন্তত মূল বাজেটে ১ শতাংশ যেন বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার বরাবরই সংস্কৃতি খাতকে অবহেলার চোখে দেখে আসছে। এটা খুবই হতাশার এবং দুঃখজনক।