পূর্ব লন্ডন, যুক্তরাজ্য: সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনের মাইল এন্ড-এর দ্যা আর্ট প্যাভিলিয়নে আগামী ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর দু’দিনব্যাপী ১০ম বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি, যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও কথা সাহিত্যিক ড. শাহাদুজ্জামান।
এ উপলক্ষে গত ৮ আগস্ট সোমবার বিকেলে সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিলেতের নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং ভিন্নভাষী মানুষের কাছে আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতিকে পরিচয় করিয়ে দিতে এই উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ২০০৯ সাল থেকে সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের যাত্রা শুরু হয় এবং এই দীর্ঘ সময়ে এই সংগঠনের কার্যক্রমে প্রায় সবসময় সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করে আসছেন ও নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে আমাদের সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের প্রচারে সহযোগিতা করেছেন। এজন্য আমরা সাংবাদিকদের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য হচ্ছে বিলেতের বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সম্মিলিত রূপ। ২০০৯ সালে এই সংগঠনের জন্ম হয়। ২০১০ সালে প্রথম বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলা একাডেমীসহ দেশের খ্যাতিমান প্রকাশনী সংস্থা অংশগ্রহণ করে। প্রথম বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মরহুম প্রফেসর শামসুজ্জামান খান। উদ্বোধন করেছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক প্রয়াত আবদুল গাফফার চৌধূরী। এ ছাড়াও ২০১১ সালে ‘বাংলা একাডেমী বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল, ‘বাংলা একাডেমীর প্রবাসী লেখক পুরস্কার’ এর প্রবর্তন। এরপর ২০১৫ সালে পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়, ‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার’। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় প্রতি বছরই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গত দু’বছর করোনা মহামারীর কারণে বইমেলা করা সম্ভব হয়নি। এবার ১০ম বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, দ্যা আর্ট প্যাভিলন মাইল এন্ড পার্কে। বরাবরের মত এবারও নানা আয়োজনের সাথে থাকবে আলোচনা, সাহিত্য অনুষ্ঠান, শিশুদের পরিবেশনা, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, প্রতিবন্ধী শিশুদের পরিবেশনা, কবিতা আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতাপাঠ, সম্মিলিত সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, প্রবেশ মূল্য লাগবে না।
এতে আরও বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবে যোগ দিয়ে আসছেন। এবারের বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কবি, সাহিত্যিকসহ বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫টির মতো খ্যাতিমান প্রকাশনী সংস্থা ও বিলেতের ৫টি প্রকাশনী সংস্থা অংশগ্রহণ করবে। আমরা সবসময় সাংবাদিক, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী, সংস্কৃতকর্মী, শিক্ষানুরাগীসহ আমাদের কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা পেয়েছি। আশা করছি, আমাদের এবারের ১০ম বাংলাদেশ বইমেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবকে সফল করতে বরাবরের মতো সাংবাদিকসহ কমিউনিটির সকলের সহযোগিতা পাবো।
সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলা হয়, বিগত দিনের মতো আশা করছি এবারও সাংবাদিক কর্ণারে আপনারা উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আব্দুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি ময়নুর রহমান বাবুল, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ছোটন, ট্রেজারার লেখক সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান ও সাবেক সভাপতি লেখক ও গবেষক ফারুক আহমদ। লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।





