এই পেশা বন্ধ না করলে তাঁদের চাকরি হারাতে হবে বলে সাবধান করল প্রশাসন।
সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনে তীব্র আপত্তি জানাল ত্রিপুরা সরকার। অবিলম্বে এই পেশা বন্ধ না করলে তাঁদের চাকরি হারাতে হবে বলে সাবধান করল প্রশাসন।
শনিবার রাতে ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘১৯৯৬ সাল থেকে বহু বার সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করতে অনেক নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ২০১৫ সালে হাই কোর্টও সরকারের সমর্থনে এই অভ্যাস বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। আমরা আদালতের নির্দেশ অনুসারেই পদক্ষেপ করছি। আমরা সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের আর প্রাইভেট টিউশনি করতে দেব না। ৮ জুন থেকে তল্লাশি শুরু হবে। অতিরিক্ত রোজগার করতে চাইলে তাঁরা সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রাইভেট টিশনি চালিয়ে যেতে পারেন।’
২০১৫ সালে সরকারি স্কুল, সরকার অধিকৃত স্কুল ও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ত্রিপুরা হাই কোর্ট।
আদালতের নির্দেশে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা শুধুমাত্র ১৪ বছরের বেশি বয়েসি অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়। চোদ্দ বছরের কম বয়েসি পড়ুয়াদের প্রাইভেট টিউশনি শিক্ষা আইনে নিষিদ্ধ, জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
কিছু কিছু প্রাইভেট টিউটর সামাজিক দূরত্ব বিধি অমান্য করেই ছাত্র পড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।