শিরোনাম
বৃহঃ. ডিসে ৪, ২০২৫

সাংবাদিক পরিচয়ে বহুরুপী বাণিজ্য সাগরের

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে গোপনে গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাচারের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: পরিচয় সাংবাদিক মোহাম্মদ সাগর হোসেন। এই পরিচয়ের অপব্যবহারে বর্তমানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিয়োগকৃত প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর এপিএস হিসেবে সম্প্রতি আবার নিয়োগ পেয়েছেন। বর্তমানে সে নিজেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরির কথিত ‘ভাতিজা‘ পরিচয়ে এ নিয়োগ বাগিয়ে নেন। এমনকি সে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নাম ভাংগিয়ে বর্তমানে প্রচুর তদবির বানিজ্য করে বেড়াচ্ছে যা বর্তমানে সাংবাদিক মহলের অনেকেই জানেন।

এর আগে সাগর হোসেন নিজেকে হাসিনার সময় ঢাকা বিশবিদ্যালয় এসএম হলের ছাত্র লীগের ক্যাডার প্রমাণ করে এপিএস নিয়োগ নিয়েছিল। যদিও এতে তার শেষ রক্ষা হয়নি। নিয়োগের কয়েক দিনের মাথায় আওয়ামী পন্থী সাংবাদিকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তার নিয়োগপত্র বাতিল করতে বাধ্য হয় চুপ্পু। যদিও সাগর হোসেন চুপ্পুর পছন্দেই নিয়োগ পেয়েছিল। কারন এই সাংবাদিক সাগর চুপ্পুর দুদকে চেয়ারম্যান থাকার সময় থেকেই তার চাঁদা কালেকশানের ক্যাসিয়ার হিসেবে কাজ করে আসছিল। চুপ্পুর নিজের ফাউন্ডেশনের চাঁদা কালেকশানের নামে সে চাদা উঠাত। সাগর বড় বড় ব্যবসায়ীদের নামে দুদকে বেনামে চিঠি লিখে সেই চিঠি চুপ্পুর মাধ্যমে যোগসাজশে তদন্তের নামে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি করার মাধ্যমে চুপ্পুর অত্যন্ত ঘনিস্টজনে পরিনত হয়। চুপ্পুর চাদাবাজির অংশিদার হয়ে সে ইতিমধ্যে ঢাকায় একাধিক বাড়ি,ফ্লাট এবং ব্যাংক ব্যালেন্সের মালিক হয়ে গেছে। তাই চুপ্পু প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েই সাগর কে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।

দৈনিক সংগ্রাম দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করা সাগর হোসেন নানা দুনিতিতে জড়িয়ে পড়লে সংগ্রাম কর্তৃপক্ষ তাকে ছাটায়ের উদ্যাগ নিলে চতুর সাগর নিজেকে জামায়াত বিরোধী পরিচয়ে যুগান্তরে যোগদান করে। মাঝখানে সে কিছু দিন বিএনপি বিট করে বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়লেও বরাবরই সে ছিল আওয়ামী লীগ পন্থি। যার কারনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ পন্থি গ্রুপেই সদস্যভুক্ত হয়। যদিও দুর্নীতিবাজ এবং চিটিংবাজ বলে কোন গ্রুপই তাকে বিশ্বাস করত না। ফলে প্রেসক্লাবের সদস্য আবেদনে আওয়ামী লীগ পন্থি গ্রুপের কমিটিও তাকে সদস্য পদ দিতে অস্বীকার করে। সেকি আসলেই ছাত্রদল করত কিনা তা একজন জিজ্ঞেস করলে সে ইনবক্সে ছাত্র লীগ বলে গর্ব করে পরিচয় দেয় যা সে সাংবাদিকদের কাছে প্রেরণ করে। এখন বর্তমান বিপ্লবী ত্তত্বাবধায়ক সরকার আসার পর সাথে সাথে আওয়ামী লীগ দোসর চুপ্পুর সাথে আগের ঘনিস্টতা আর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভাতিজার কথা বলে বংগ ভবনের মতো অত্যন্ত স্পর্শ কাতর জায়গায় বসে পড়ে।

বিগত আওয়ামী লীগের শেষ সময়ে বাংলা টিভিতে হেড অব নিউজ থাকা কালে কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে সে বিএনপি- জামায়াত পন্থি অনেক সাংবাদিকদের চাকুরীচ্যুত করে । এমনকি এক সময় সে বাংলাটিভির মালিক আব্দুস সামাদকে বিএনপি আখ্যা দিয়ে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রি হাসান মাহমুদের ঘনিষ্ঠ একজনের সহযোগিতায় টিভিটি জোরপুর্বক দখলের ব্যর্থ চেস্টা চালায়। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সে তখন চুপ্পু গংদের সহযোগিতায় বাংলা টিভির মালিক সামাদুল হক, পরিচালক শান্তুনু, কে এম আখতারুজ্জামাননের বিরুদ্ধে দুদদকে লেলিয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানির এক পর্যায়ে তাকে বাংলা টিভি হতে বরখান্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ পন্থি পলাতক বহু সাংবাদিক, আমলাদের সাথে তার সখ্যতার কথা সাংবাদিক মহলে সবাই জানত,যা সে বিভিন্ন সময় সোস্যাল মিডিয়াতেও জানান দিত। সেসব স্ট্যাটাস বর্তমানে সবই সে মুছে দিয়েছে বলে তার ঘনিষ্ঠরা জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় সে মুন্নী সাহার সাথে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে এটিএন নিউজেও চাকুরী পেয়েছিল। বহুরুপি এ চিটার ভারতীয় র’য়ের এজেন্ট। কিভাবে এ সরকারের সময়ও রং পাল্টিয়ে রাস্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসে রাস্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করছে তা নিয়ে সাংবাদিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *