অমর্ত্য লাহিড়ী: ভারত মহাসাগরে অতি দ্রুত নিজেদের কর্তৃত্ব বাড়িয়ে চলেছে চীন। এই অবস্থায় পিছিয়ে থাকতে চাইছে না ভারতও। বিপুল বিনিয়োগ করছে ভারত সরকার। এর জন্য আগামী ১০ বছরে ৫,৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সেনা ঘাঁটির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে মোদী সরকার। আন্দামানে বাড়তি যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, সামরিক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাটারি রাখা হবে। ভারতীয় সেনার কয়েকটি বাহিনীও মজুত থাকবে।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহীনির মধ্য়ে সেনাবাহিনীর আন্দামান ও নিকোবর কমান্ড (এএনসি)-ই একমাত্র যেখানে স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা, কোস্টগার্ড একক কমান্ডের অধীনে রয়েছে। এই কমান্ডকে কাজে লাগিয়েই আগামী ১০ বছরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অজয় ডোভালের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স প্ল্যানিং কমিটিও এই পরিকল্পনা খতিয়ে দেখেছে।
জানা গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের বাজেট ১০০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি ধরা হলেও পড়ে কাটছাঁট করা হয়। বেশিরভাগ উন্নয়নের কাজ এএনসি-এর অধিকৃত স্থলভাগেই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর সঙ্গে ধাপে ধাপে ২০১৭ সালের মধ্যে এএনসি-র আর্মড ফোর্সের বল বৃদ্ধির জন্য সেনার সংখ্যা ও অস্ত্রশস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য ৫,৩৭০ কোটি টাকা মতো বাজেট ধরা হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় ১০৮ মাউন্টেন ব্রিগেডকে আরও শক্তিশালী করা হবে। বর্তমানে এএনসির হাতে দুই ব্যাটেলিয়ন পদাতিক বাহিনী ও এক ব্যাটেলিয়ন টেরিটোরিয়াল সেনা বাহিনী রয়েছে। এরসঙ্গে আরো এক ব্যাটেলিয়ন পদাতিক বাহিনী যোগ করা হবে। পাশাপাশি নতুন করে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, সিগনাল ব্যাবস্থা,ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট ইত্যাদিকে সাজানো হবে।
গত একমাসের মধ্যে আন্দামানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের আগমনের কারণে মনে করা হচ্ছে প্রকল্পের কিছু কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই শিবপুরে নৌসেনাবাহিনীর এয়ার বেসের রানওয়ে দীর্ঘ করার নির্দেশ দিয়েছেন নৌসেনাবাহিনীর প্রধান অ্যাডনিরাল সুনীল লাম্বা। এছাড়া কামোর্তা দ্বীপেও একটি ১০০০০ ফুট লম্বা রানওয়ে গড়ে তোলা হবে।