নিজস্ব প্রতিনিধি: থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জগতটাকে। লকডাউনের জেরে ঘরে বসে থেকে থেকে হাশফাঁস দশা পায়ের তলায় সর্ষে নিয়ে ঘোরা বাঙালির। কোথাও যেতে পারছেন না তাঁরা। কিন্তু এবার আনলক পর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই বাঙালি যাতে আবারও ঘুরতে যেতে পারে তার জন্য রাজ্য পর্যটন নিগম এবার তাঁদের হাতে থাকা ট্যুরিস্ট লজের দরজা খুলে দিতে চলেছে পর্যটকদের জন্য। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মূলত লকডাউন উত্তরপর্বে রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করে তোলার লক্ষ্যেই এই সব ট্যুরিস্ট লজগুলির দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের জন্য। তবে সব ট্যুরিস্ট লক খোলা হচ্ছে না। দরজা খোলা হচ্ছে মাত্র ১৩টির। আর সেখানে থাকতে গেলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে পর্যটকদের। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় এক কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষা ভাবে জড়িত পর্যটন শিল্পের সঙ্গে। গত সাড়ে তিন মাসের লকডাউনের জেরে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গিয়েছে সেই পর্যটন শিল্প। আর এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষদের অবস্থা এখন খুবই খারাপ অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, কেউ কেউ কার্যত নিঃস্বও হয়ে গিয়েছেন। তাই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে রাজ্যের ১৩টি টুরিস্ট লজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ট্যুরিস্ট লজগুলি রয়েছে ডায়মন্ডহারবার, ঝাড়গ্রাম, ব্যারাকপুর, বকখালি, দিঘা, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, সুন্দরবন, মাইথন, বোলপুর ও কালিম্পংয়ে। পর্যটন দফতর সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই সব লজে থাকার জন্য অনলাইন বুকিংয়ের প্রক্রিয়া। আর তাতে সাড়াও দিচ্ছেন বেশ কিছু পর্যটকেরা।
তবে পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু বিধিনিষেধও এই সব ট্যুরিস্ট লজে চালু করছে রাজ্যের পর্যটন দফতর যা মেনে চলতে হবে পর্যটকদের। প্রথমত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাবতীয় বুকিং হবে অনলাইনে। পাশাপাশি ওই সব লজের প্রতিটি রুমে স্যানিটাইজার প্যাক চালু করছে রাজ্য। একজন ব্যবহারের পর ওই প্যাক ফেলে দেওয়া হবে। প্যাকে থাকবে টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, চিরুনি, তোয়ালে, সাবান শ্যাম্পু-সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র। তার জন্য পর্যটকদের কাছ থেকে বাড়তি কিছু দাম নেওয়া হবে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। ওই সব রুম ও সেখানে থাকা আসবাব, বিছানা স্যানিটাইজ করার জন্য ওই সব লহের কর্মীদের ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তবে লজ খুললেও লজের ডাইনিং হলে আপাতত খাবার দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র রুম সার্ভিস করা হবে। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে পর্যটকদেরও। ব্যবহার করতে হবে মাস্কও।