স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আগামী বৈঠকে এসব প্রকল্প নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে বলেছে কমিটি। সেই সঙ্গে আগামী বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শককে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০২ সালের জুন পর্যন্ত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সমাপ্ত প্রকল্পগুলোর ওপর সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী নেওয়ার ব্যবস্থার বাস্তব অগ্রগতি এবং জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২১ সময়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ভৌত ও আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এর মধ্যে কিছু প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি কম। কিছু প্রকল্পের যে তথ্য সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া হয়েছে, তা থেকে প্রকল্পের প্রকৃত চিত্র পাওয়া সম্ভব নয়। এসব কারণে মূলত কমিটি ক্ষোভ প্রকাশ করে। বৈঠকের কার্যপত্রে দেখা গেছে, পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এটি শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পের কাজের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৫ শতাংশ আর আর্থিক অগ্রগতি ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। কুমিল্লা কারাগার পুনর্নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। শেষ হবে চলতি বছর ডিসেম্বরে।
প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্প শুরু ২০১৮ সালে জুলাইয়ে। চলতি বছরের জুনে এটি শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৩৪ দশমিক ১৬ শতাংশ, ভৌত অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ।
কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবের হোসেন চৌধুরী, মনজুর হোসেন এবং আদিবা আনজুম অংশ নেন।