লন্ডন: হংকংয়ের তিরিশ লক্ষ বাসিন্দাকে ব্রিটেনে গিয়ে বসবাস করা এবং ভবিষ্যতে নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। চিনকে প্রবল চাপে ফেলে এমনই ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
চিনের পাশ করা নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে প্রবল বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে উঠেছে হংকং। ব্রিটেনও মনে করছে, নয়া এই আইনে হংকং-এর স্বশাসনে হস্তক্ষেপ করা হবে। ফলে পূর্বতন এই ব্রিটিশ উপনিবেশ ছেড়ে সেখানকার বাসিন্দাদের ব্রিটেনে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ করে দিতেই এই প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন, সাড়ে তিন লক্ষ ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী এবং আরও ২৬ লক্ষ যোগ্য আবেদনকারীকে আগামী পাঁচ বছর ব্রিটেনে গিয়ে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হবে। তার এক বছর পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ব্রিটেনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
হংকং-এর যে বাসিন্দাদের কাছে ব্রিটিশ ন্যাশনাল ওভারসিজ পাসপোর্ট রয়েছে, ১৯৮০-এর দশকে তাঁদের বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। যদিও বর্তমানে তা কাটছাঁট করা হয়েছে। তবে এই পাসপোর্ট যাঁদের রয়েছে, তাঁরা এখনও ভিসা ছাড়াই ৬ মাসের জন্য ব্রিটেনে কাটাতে পারেন।
বরিস জনসন জানিয়েছেন, নতুন নিয়মে অনাবাসী ব্রিটিশ নাগরিক এবং তাঁদের উপরে নির্ভরশীলরা পাঁচ বছরের জন্য ব্রিটেনে গিয়ে বসবাসের পাশাপাশি কর্মসংস্থান এবং পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর তাঁরা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তার একবছর পরই নাগরিকত্বের আবেদন করা যাবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, হংকংয়ের স্থানীয় প্রশাসন মঙ্গলবার যে নতুন আইন পাশ করার কথা জানিয়েছে, তা ১৯৮৫ সালে ব্রিটেন এবং চিনের মধ্যে হওয়া যৌথ ঘোষণার পরিপন্থী। নতুন এই আইন স্পষ্টতই দুই দেশের আইনি চুক্তির খেলাপ করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বরিস জনসন। সেই চুক্তি অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে হংকং-এর হস্তান্তর হওয়ার পর ৫০ বছর পর্যন্ত নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে হংকং এবং সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না চিন। বরিস জনসন বলেন, ‘যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে হংকং-কে দেওয়া স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে এই নতুন আইন।’ নিউজ ১৮