আরাকান নিউজ ডেস্ক: নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা পৌঁছেছে। এ নিয়ে কক্সবাজার থেকে ভাসানচর আসা রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৯ জনে দাঁড়াল।
আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বানৌজা টুনা, বানৌজা ডলফিন এবং বানৌজা পেঙ্গুইনে করে তারা ভাসানচর পৌঁছায়।
নতুন আসা রোহিঙ্গাদেরকে নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে ৮৮, ৮৯ ও ৯০ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। নৌবাহিনীর ভাসানচর ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মো. হাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভাসানচর থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, কক্সবাজার থেকে শুরু করে ভাসানচর আসা পর্যন্ত পুলিশ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ছিল। ভাসানচর নামানোর পর বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি ১ হাজার ২৮৭ জন, একাদশ দফায় এক হাজার ৬৫৫ জন ও দ্বাদশ দফায় ২ হাজার ৯৮২ জন এবং ত্রয়োদশ দফায় তিন হাজার ৫৩২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
সোমবার নোয়াখালীর ভাসানচরে আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা পৌঁছেছে।
জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছ গ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।