মো: কাওছার, যুক্তরাজ্য: আগামী ৪ মে ২০২৩ ইং স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ার কাউন্টির ইস্টহাট কাউন্সিলের হার্টফোর্ড সীল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন চাঁদপুর কচুয়া উপজেলার কৃতি সন্তান এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন টিটো। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি তাকে ডিস্ট্রিক ও টাউন কাউন্সিলের কাউন্সিলর পদে গত ফেব্রুয়ারী মাসে মনোনয়ন দেন এবং গত মার্চ মাসে স্থানীয় কাউন্সিলে রিটার্নিং অফিসার বরারবর মনোনয়ন দাখিল করলে ৫ই মে যাচাই বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করেন।
এবারের নির্বাচনে হার্টফোর্ডশায়ার হার্টফোর্ড টাউন ও ইস্টহাট ডিস্ট্রিক কাউন্সিলে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে তিনিই হার্টফোর্ডে একমাত্র বাংলাদেশি কাউন্সিলার প্রার্থী।
চাঁদপুর কচুয়ার উপজেলার কাদলা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন টিটো ২০১০ সালে তিনি লন্ডনে পাড়ি দেন, তিনি যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসেলের নর্দাম্ব্রিয়া ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়ন করেন। পেশায় তিনি একজন ইমিগ্রেশন আইনজীবী এবং বেসরকারি সিকিউরিটি ইন্ড্রাস্ট্রির প্রশিক্ষক। ২০১০ সালে প্রথমে ফ্রেন্ডস অব কনজারভেটিব এবং পরে পেইড সদস্য পদ লাভ করেন। এছাড়া তিনি দলের পক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন টিটোর পিতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গাজী সোলায়মান। টিটো পরিবারের ২য় সন্তান।
এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন টিটো এই প্রতিবেদক কে বলেন, লন্ডনে স্থানীয় নির্বাচনে বাসিন্দাদের জন্য কাউন্সিল নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কাউন্সিলাররা বাসিন্দাদের জীবন যাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। যেমন, রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখা, রাস্তায় লাইট এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্যামেরা সেট করা, ময়লার বিন কালেকশন করা, বাসিন্দাদের জানমালের সিকিউরিটি দেওয়া, ড্রাগ ও ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করা, নতুন হাউজিং নির্মাণ ও কাউন্সিল হাউজিং সুবিধা দেওয়া, কাউন্সিল ট্যাক্স সহনশীল অবস্থায় রাখা, যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এমনকি রাস্তাঘাট নির্মাণ ও মেরামতে ভূমিকা রাখা, স্বাস্থ্য সেবা ইত্যাদি ভুমিকা রাখতে পারেন। তাই স্থানীয় নির্বাচন বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই বাসিন্দারা তাদের ভোটের মাধ্যমে পছন্দের কাউন্সিলর নির্বাচিত করে থাকেন।
এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন টিটো আরও বলেন, বাংলাদেশি তথা স্থানীয় কমিউনিটির সবার সেবায় তিনি কাজ করতে চান। একজন তরুণ রাজনীতিবিদ হিসেবে বিশেষ করে, সমাজের তরুণ ও যুব সমাজের সম্ভাবনা কে কাজে লাগাতে চান। বাংলাদেশি প্রবাসীদের যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন মুল ধারার রাজনীতিতে সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আগামী ৪ঠা মে স্থানীয় নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হলে তা হবে লন্ডনে বাঙ্গালী কমিউনিটির জন্য আরো একটি গৌরবের বিষয়। সবশেষে তিনি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।