রায়হানুল ইসলাম আকন্দ, গাজীপুর: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার জানিয়েছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর ফাইভ-জি’র যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরমধ্য দিয়ে ২০২৩ সালের ভেতরে ফাইভ জি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এ কথা বলেছেন।
গাজীপুরে সজীব ওয়াজেদ জয় ভূ- উপগ্রহ কেন্দ্র মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীর ৬-৭টি দেশের বেশি কোনো দেশ এখনও পর্যন্ত ফাইভ-জি’তে প্রবেশ করেনি। ফাইভ-জি’র যুগে প্রবেশের বিষয়টি ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে নিশ্চয়তা করা হয়েছে। আপনারা ফাইভ-জি’কে টু-জি, থ্রি-জি’র মতো আরও একটি মোবাইলের প্রযুক্তি মনে করবেন না। আগামীদিনের বিশ্বকে বদলে দেওয়ার একটি প্রযুক্তি হচ্ছে ফাইভ-জি। আমরা প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পেছনে পড়া একটি দেশ। এই প্রথম পৃথিবী সর্বাগ্রে যে দেশগুলো প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে, তারমধ্যে বাংলাদেশ স্থায়ী আসন গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এটাকে নেতিবাচকভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই, এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ফাইভ-জি কতোটা জরুরি, আমি নিশ্চিত ২০২৩ সালের মধ্যে আপনারা প্রত্যেকে তা উপলব্ধি করতে পারবেন।”
মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, “আমি গর্বিত যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ফাইভ-জি’র মহাসড়ক তৈরি করে বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল কানেকটিভিটি সুবর্ণ যুগের সূচনা করছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে আমরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রযুক্তির একটা দেশে রূপান্তর করতে যাচ্ছি- এটি আমাদের গর্বের বিষয়। ফাইভ জি চালু হলে আপনি যেখানে বা যতো দূরেই থাকেন, সেখানে বসে তা ব্যবহার করে ঘরের লাইট, ফ্যান, এসি ও কৃষি ক্ষেত্রে পানির পাম্প চালু বা বন্ধ এমনকি জমিতে সেচের প্রয়োজন হলে তা বলে দেওয়াসহ সকল কাজ করতে পারবেন। এ ছাড়াও রোবটের মাধ্যমে ঘরের কাজসহ মিলকারখানা বা জমির কাজ রোবটের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে। আর এসবের কেন্দ্র বিন্দু হবে ফাইভ-জি।”
মন্ত্রী বলেছেন, “২০২৩ সালের মধ্যে দেশে এমন কোনো ইউনিয়ন বাকি থাকবে না যেখানে দ্রুতগতি পৌঁছুবে না- আমি এ নিশ্চয়তা দিতে পারি। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার জন্য অবকাঠামোগত যে অগ্রগতি হওয়ার দরকার তার পরিপূর্ণ আকৃতির উপর এখন দাঁড়িয়ে আছে। আপনারা হয়তো বিস্মিত হবেন- যে বাংলাদেশে আমাদের জন্য অবকাঠামো তৈরি করা সত্ত্বেও বড় চ্যালেঞ্জ, সেই বাংলাদেশে মাত্র ১৬০টি ইউনিয়ন ছাড়া বাকি সবগুলো ইউনিয়নগুলোতে আমরা কানেক্টিভিটি পৌছে দিচ্ছি। সবগুলোর মধ্যে কেবলমাত্র ২-৩শ’ ইউনিয়নে কানেক্টিভিটির কাজ চলছে যেগুলো আমরা ২০২২ সালের মধ্যে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো। যে ১৬০টিতে কানেকশন দিতে পারছি না সেগুলোতে আমরা স্যাটেলাইট ব্যবহার করবো।”